ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ মহালয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭ বার পঠিত

আবার এলো দেবীপক্ষ। দক্ষিণায়নের দিন। কৈলাসশিখর থেকে তার আগমনিবার্তায় বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উৎসবের রোশনাই। হিন্দুধর্মে বিশ্বাস, আজ দশভুজা শক্তিরূপে দুর্গা মণ্ডপে মণ্ডপে অধিষ্ঠান করবেন। আজ শেফালিঝরা শারদ প্রভাতে জলদকণ্ঠে চণ্ডীপাঠ আর পিতৃপক্ষের তর্পণের সমাপন ঘটবে। আর এই চণ্ডীতেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া। হিন্দুরা মনে করেন, শরতের আকাশে-বাতাসে এখন যেন মন্দ্রিত হচ্ছে ‘রূপংদেহি, জয়ংদেহি, যশোদেহি, দ্বিষোজহি’র সুরলহরি। আজ ঘনঘটার অমাবস্যা তিথিতে প্রাণে দ্যোতনা তুলে ঢাকে পড়বে কাঠি। দুর্গোত্সবের তিন পর্ব যথা :মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা। মহালয়ায় পিতৃপক্ষ সাঙ্গ করে দেবীপক্ষের দিকে যাত্রা হয় শুরু।

আগামী ৮ অক্টোবর সায়ংকালে অকালবোধনে খুলে যাবে মা দুর্গার শান্ত-স্নিগ্ধ অতল গভীর আয়ত চোখের পলক। ধূপের ধোঁয়ায় ঢাক-ঢোলক, কাঁসর-মন্দিরার চারপাশ কাঁপানো নিনাদ আর পুরোহিতের ভক্তিকণ্ঠে :‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা/নমস্তৈস্য নমস্তৈস্য নমো নম..’ মন্ত্রোচ্চারণের ভেতর দূর কৈলাস ছেড়ে দেবী পিতৃগৃহে আসবেন দোলায়। ১২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে ফিরবেন ঘোটকে। দক্ষিণ এশিয়ায় এই পূজাকে শরৎকালের বার্ষিক মহা উৎসব হিসেবে ধরা হয় বলে এটাকে শারদীয় উৎসবও বলা হয়। বাঙালি হিন্দুদের প্রিয় পূজা-শারদীয়া। কলকাতা, হুগলী, শিলিগুড়ি, কুচবিহার, লতাগুড়ি, বাহারাপুর, জলপাইগুড়ি এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল যেমন, আসাম, বিহার, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাট, পাঞ্জাব, কাশ্মীর, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরালায় ঘটা করে এই উৎসব পালন করা হয়। নেপালে ও ভুটানেও স্থানীয় রীতিনীতি অনুসারে প্রধান উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশেও ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন করা হয়।

এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এ বছর সারা দেশে দুর্গাপূজায় মণ্ডপের সম্ভাব্য সংখ্যা ৩২ হাজার ৬৬৬টি। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫৭টি ও উত্তর সিটিতে ৮৮টি মণ্ডপ হবে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে পূজামণ্ডপের যে সংখ্যা বলা হচ্ছে তা সরকারি বা পূজা উদযাপন পরিষদের তালিকা নয়। এটি একটি সম্ভাব্য তালিকা। গত বছর মোট পূজামণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৪৩১।

ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, দুর্গাপূজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে অসচ্ছল মণ্ডপগুলোতে এই টাকা বিতরণ করা হবে। প্রতি পূজামণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হতো। আমার মন্ত্রণালয় থেকে এটা ২০০ কেজি পর্যন্ত বাড়ানো সুপারিশ করেছি

ট্যাগস :

আজ মহালয়া

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

আবার এলো দেবীপক্ষ। দক্ষিণায়নের দিন। কৈলাসশিখর থেকে তার আগমনিবার্তায় বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উৎসবের রোশনাই। হিন্দুধর্মে বিশ্বাস, আজ দশভুজা শক্তিরূপে দুর্গা মণ্ডপে মণ্ডপে অধিষ্ঠান করবেন। আজ শেফালিঝরা শারদ প্রভাতে জলদকণ্ঠে চণ্ডীপাঠ আর পিতৃপক্ষের তর্পণের সমাপন ঘটবে। আর এই চণ্ডীতেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া। হিন্দুরা মনে করেন, শরতের আকাশে-বাতাসে এখন যেন মন্দ্রিত হচ্ছে ‘রূপংদেহি, জয়ংদেহি, যশোদেহি, দ্বিষোজহি’র সুরলহরি। আজ ঘনঘটার অমাবস্যা তিথিতে প্রাণে দ্যোতনা তুলে ঢাকে পড়বে কাঠি। দুর্গোত্সবের তিন পর্ব যথা :মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা। মহালয়ায় পিতৃপক্ষ সাঙ্গ করে দেবীপক্ষের দিকে যাত্রা হয় শুরু।

আগামী ৮ অক্টোবর সায়ংকালে অকালবোধনে খুলে যাবে মা দুর্গার শান্ত-স্নিগ্ধ অতল গভীর আয়ত চোখের পলক। ধূপের ধোঁয়ায় ঢাক-ঢোলক, কাঁসর-মন্দিরার চারপাশ কাঁপানো নিনাদ আর পুরোহিতের ভক্তিকণ্ঠে :‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা/নমস্তৈস্য নমস্তৈস্য নমো নম..’ মন্ত্রোচ্চারণের ভেতর দূর কৈলাস ছেড়ে দেবী পিতৃগৃহে আসবেন দোলায়। ১২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে ফিরবেন ঘোটকে। দক্ষিণ এশিয়ায় এই পূজাকে শরৎকালের বার্ষিক মহা উৎসব হিসেবে ধরা হয় বলে এটাকে শারদীয় উৎসবও বলা হয়। বাঙালি হিন্দুদের প্রিয় পূজা-শারদীয়া। কলকাতা, হুগলী, শিলিগুড়ি, কুচবিহার, লতাগুড়ি, বাহারাপুর, জলপাইগুড়ি এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল যেমন, আসাম, বিহার, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাট, পাঞ্জাব, কাশ্মীর, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরালায় ঘটা করে এই উৎসব পালন করা হয়। নেপালে ও ভুটানেও স্থানীয় রীতিনীতি অনুসারে প্রধান উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশেও ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন করা হয়।

এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এ বছর সারা দেশে দুর্গাপূজায় মণ্ডপের সম্ভাব্য সংখ্যা ৩২ হাজার ৬৬৬টি। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫৭টি ও উত্তর সিটিতে ৮৮টি মণ্ডপ হবে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে পূজামণ্ডপের যে সংখ্যা বলা হচ্ছে তা সরকারি বা পূজা উদযাপন পরিষদের তালিকা নয়। এটি একটি সম্ভাব্য তালিকা। গত বছর মোট পূজামণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৪৩১।

ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, দুর্গাপূজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে অসচ্ছল মণ্ডপগুলোতে এই টাকা বিতরণ করা হবে। প্রতি পূজামণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হতো। আমার মন্ত্রণালয় থেকে এটা ২০০ কেজি পর্যন্ত বাড়ানো সুপারিশ করেছি