আবারও ফিলিং স্টেশনে হামলা, তালা ঝুলিয়ে দিল মাদক সম্রাট হিরা মানিক মাঝি!

- আপডেট সময় : ০১:৫৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫ ৭৫০ বার পঠিত
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থলে অবস্থিত ‘মেসার্স আরিফ ফিলিং স্টেশনে’মাদক সম্রাট হিরা মাঝি মানিক মাঝির নেতৃত্বে শতাধিক লোক অনাধিকার প্রবেশ করে দখলের চেস্টা চালায়। হারুন বেপারীর ওপর হামলার চেস্টা ও অফিস কক্ষে তালা লাগানোর চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে কর্মচারী হুমায়ুন আহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে গৌরনদী থানার পুলিশ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিব হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মব মাদক সিন্ডিকেটদের সহযোগি নারী পুরুষরা পালিয়ে যায়। মব র খবর পেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আকন কুদ্দুসুর রহমান ঘটনাস্থলে যান । এসিল্যান্ডকে মুল মালিককে বিষয়ে পাম্প বুঝিয়ে দিতে বলেন।
সূত্র মতে,বিগত সরকারের আমলে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ মুন্সি একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তির মাধ্যমে ফিলিং স্টেশনটি জোরপূর্বক ভোগ দখল করেছিলেন। পরবর্তীতে হারুন বেপারীর স্বাক্ষর জাল করে হিরা মাঝির পক্ষে তার বাবা মজিবুর মাঝির নামে ও ফরহাদ মুন্সির অংশ মানিক মাঝির নামে আরেকটি চুক্তি করেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
হারুন বেপারীর মেয়ে পপি জানান, ৫ আগস্টের পরে থানায় অভিযোগ দিয়েও অভিযুক্তরা উপস্থিত হয়নি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিলে তিনি নোটিশ দিয়ে দুই দফা শুনানি করেন এবং হিরা মাঝি মানিক মাঝি গংদের ফিলিং স্টেশনের আশপাশে না যেতে নির্দেশ দেন। নির্দেশ উপেক্ষা করে তারা স্টেশনে হামলা চালিয়ে প্রায় ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা লুট করে। পপি বাদী হয়ে গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করলে হিরা মাঝি ও তার ছেলে সিফাত মাঝিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। হিরা মাঝিকেও গ্রেফতার করা হয়। তারা জামিনে এসে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল।
পপি আরও জানান, সম্প্রতি বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান খান মুকুল হিরা মাঝির পক্ষে থেকে তার বাবাকে কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলেন। পরে তিনি পাম্পে তালা মারার হুমকি দেন।
আজকের হামলায় হিরা মাঝি মানিক মাঝি গং তাদের সহযোগীদের নিয়ে স্টেশনে ঢুকে তার বাবাকে মারধরের চেষ্টা করে এবং তাকে বের করে দিয়ে অফিসে তালা লাগায়।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে তালার চাবি স্টেশনের কর্মীদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসে কাগজপত্র লাইসেন্স দেখে বিষয়টির সমাধান করা হবে।