ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বিষয়, হস্তক্ষেপ করবে না সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪ ১০৭ বার পঠিত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশি কর্মীকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দণ্ডের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তবে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বাংলাদেশিদের মুক্তি দাবি করেছে।

 

গতকাল বুধবার প্রবাসীকল্যাণ ভবনে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, দেশে যেভাবে মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, বিদেশে শ্রমবাজার ধ্বংসে একই কাজ করেছে। আমি মনে করি, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-বিএনপির প্রেতাত্মারা যেমন কৃতকর্মের শাস্তি পেয়েছে, তেমনি দুবাইয়ে আন্দোলন করে এরা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এ জন্য তাদের শাস্তি হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রবাসীদের বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করব না। এটি আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বিষয়।

এর আগে মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, বিক্ষোভ করায় আমিরাত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করেছে। তবে এ বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেননি দেশটিতে বাংলাদেশের কূটনীতিকরা। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল শফিকুর রহমান বলেন, ভিসা বন্ধের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি আমিরাত। বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারাও কিছু জানে না। বাংলাদেশে আমিরাতের রাষ্ট্রদূতও কিছু জানাননি।

ভিসা বন্ধের খবর ভিত্তিহীন কিনা– প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও কোনো খবর আসে নাই, চিঠি আসে নাই।’

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে গত শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দুবাই, শারজাহ, আজমানের বিভিন্ন এলাকার সড়কে বিক্ষোভ করেন বাংলাদেশিরা। এ কর্মসূচি থেকে আটক বাংলাদেশিদের তিনজনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ১১ বছর এবং ৫৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আবুধাবির আদালত।

এ রায়ের নিন্দা করেছে এইচআরডব্লিউ। বুধবার সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের দায়ে তড়িঘড়ি করে বিচারের মাধ্যমে আমিরাত কর্তৃপক্ষ যথেচ্ছভাবে ৫৭ বাংলাদেশিকে সাজা দিয়েছে। বিচারের প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

এইচআরডব্লিউর সংযুক্ত আরব আমিরাতবিষয়ক গবেষক জোয়ে শিয়া বলেন, ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হলে আসামিদের ন্যায্য বিচার পাওয়ার সুযোগ থাকে না। এ ধরনের সাজা ন্যায়বিচারকে উপহাস করে। ইউএই কর্তৃপক্ষের উচিত দণ্ডিত সবাইকে মুক্তি দেওয়া।

আরব আমিরাতের বার্তা সংস্থা ওয়াকালাত আনবা আল ইমারাতের তথ্য অনুযায়ী, আদালতের মাত্র একটি অধিবেশনেই এ রায় দেওয়া হয়। সাজার মেয়াদ শেষে দণ্ডিতদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ট্যাগস :

আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বিষয়, হস্তক্ষেপ করবে না সরকার

আপডেট সময় : ১২:০৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশি কর্মীকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দণ্ডের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তবে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বাংলাদেশিদের মুক্তি দাবি করেছে।

 

গতকাল বুধবার প্রবাসীকল্যাণ ভবনে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, দেশে যেভাবে মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, বিদেশে শ্রমবাজার ধ্বংসে একই কাজ করেছে। আমি মনে করি, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-বিএনপির প্রেতাত্মারা যেমন কৃতকর্মের শাস্তি পেয়েছে, তেমনি দুবাইয়ে আন্দোলন করে এরা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এ জন্য তাদের শাস্তি হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রবাসীদের বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করব না। এটি আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বিষয়।

এর আগে মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, বিক্ষোভ করায় আমিরাত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করেছে। তবে এ বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেননি দেশটিতে বাংলাদেশের কূটনীতিকরা। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল শফিকুর রহমান বলেন, ভিসা বন্ধের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি আমিরাত। বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারাও কিছু জানে না। বাংলাদেশে আমিরাতের রাষ্ট্রদূতও কিছু জানাননি।

ভিসা বন্ধের খবর ভিত্তিহীন কিনা– প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও কোনো খবর আসে নাই, চিঠি আসে নাই।’

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে গত শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দুবাই, শারজাহ, আজমানের বিভিন্ন এলাকার সড়কে বিক্ষোভ করেন বাংলাদেশিরা। এ কর্মসূচি থেকে আটক বাংলাদেশিদের তিনজনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ১১ বছর এবং ৫৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আবুধাবির আদালত।

এ রায়ের নিন্দা করেছে এইচআরডব্লিউ। বুধবার সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের দায়ে তড়িঘড়ি করে বিচারের মাধ্যমে আমিরাত কর্তৃপক্ষ যথেচ্ছভাবে ৫৭ বাংলাদেশিকে সাজা দিয়েছে। বিচারের প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

এইচআরডব্লিউর সংযুক্ত আরব আমিরাতবিষয়ক গবেষক জোয়ে শিয়া বলেন, ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হলে আসামিদের ন্যায্য বিচার পাওয়ার সুযোগ থাকে না। এ ধরনের সাজা ন্যায়বিচারকে উপহাস করে। ইউএই কর্তৃপক্ষের উচিত দণ্ডিত সবাইকে মুক্তি দেওয়া।

আরব আমিরাতের বার্তা সংস্থা ওয়াকালাত আনবা আল ইমারাতের তথ্য অনুযায়ী, আদালতের মাত্র একটি অধিবেশনেই এ রায় দেওয়া হয়। সাজার মেয়াদ শেষে দণ্ডিতদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।