নদীরে ওনদীরে তুই একটু দয়া কর,ভাঙ্গিস না আর বাপের ভিটা বসত বাড়ি ঘর…. হ্যা গীতিকারের এই লেখা ও সুরকারের সুরে গাওয়া গানটির দরদ ও দোয়া যেনো এই এলাকার মানুষদের জন্য বিপক্ষে ও অবাস্তব! নদীর ভাঙ্গনে সব হারিয়ে এখন এই ঘরটুকুই নদীর পাড়ের মানুষদের সম্বল , তাও যেকেনো মুহুর্তে রাতের ঘুমের মধ্যে কখন যেনো ভেঙ্গে নিয়ে যায় সর্বনাশা আড়িয়াল খা। এই দু:চিন্তায় কাটাতে হয় নির্ঘম রাত। রাতের পর রাত কেটে যায় ,দিন যতই কেটে যায় তাদের চিন্তা আরও বেড়ে যায় কখন যেনো দিনে বা রাতে ঘুমের ঘোরে ভেঙ্গে নিয়ে যায় বড় কস্টের ঘর দুয়ার সাথে ঘুমন্ত সন্তানদেরও !
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার আলিপুর, পশ্চিম আলিপুর, মোল্লার হাট এলাকায় খরস্রেতা আড়িয়াল খা নদীর গর্জণ, তীব্র ভাঙ্গন। ফসলি জমি ফসলসহ জমি বাড়ি ঘর ভেঙ্গেচুরে একাকার! প্রতিটি দিন প্রতিটি রাত কাটে কতটা কস্টে চিন্তায় !
পশ্চিম আলিপুরের ৫ নং ওয়ার্ড এর নদীর পাড়ের বাসিন্দা আলমগীর সরদারের স্ত্রী রান্না ঘরে পাক করছিলেন , হঠাৎ তার পাকঘরসহ কলাগাছ বাগান নারকেলগাছ সহ কয়েক প্রকার ফল ফলাদির বাগান সহ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যে রান্না অবস্থায় কোনো মতে সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে তিনি দৌড়ে নিরাপদ স্থানে আসেন। এদৃশ্যর পরে আতঙ্কে কয়েকবার মুর্ছা যান আলমগীরের স্ত্রী রেহেনা বেগম।
এরকম শত শত বাড়ি নদী গর্বে বিলিন হয়ে গেছে,প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে আড়িয়াল খা ।
আলমগীর সরদারের স্ত্রী রেহেনা বেগম কান্না জড়িৎ কন্ঠে বলেন, এবার ভাঙ্গন হলে আমার বসত ঘরটি আর রক্ষা করা সম্ভব হবে না। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই,আমাদের এখানে ভাঙ্গন হতে রক্ষা করুন,বসতবাড়ি বাচান আমাদের সন্তানদের বাচান।
এলাকাবাসি দাবি করেন,নদীতে জিও ব্যাগ বা ব্লক দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানো করুরী, না হলে দেখা যাবে ঘুমন্ত অবস্থায় সলিল সমাধি হয়ে যাবে নদীর পাড়ে বসবাস করা পরিবার গুলো ।