ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু ১৩ অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১ বার পঠিত

মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ মাছ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার সচিবালয়ে এক সভায় এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশে ইলিশ মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ মাছ রক্ষায় বৈজ্ঞানিকভাবে নিষেধাজ্ঞার দিন নির্ধারণ করা হয়। পূর্ণিমা ও অমাবস্যার সঙ্গে মিল রেখে বিশেষজ্ঞদের ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবে বৈঠকে উপস্থিত সবাই একমত হন। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, র‌্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজর রাখবে, যেন কেউ ইলিশ আহরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিপণন করতে না পারে।

নদী ভরাট ও দখল হওয়ায় ইলিশ সাগর থেকে আসতে পারছে না জানিয়ে তিনি নদী রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ওই সভায় উপস্থিত জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মহাসচিব ইকবাল মাতুব্বর বলেন, আগের বছরগুলোতে নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নিয়ে নানা সমালোচনার বিষয়টি সভায় তুলে ধরা হয়। পরে উপদেষ্টা এ বছর কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কথা জানান। বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলা উপজেলা এবং শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলা ঘেঁষে প্রবাহিত মেঘনাকে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু ১৩ অক্টোবর

আপডেট সময় : ১০:১৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ মাছ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার সচিবালয়ে এক সভায় এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশে ইলিশ মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ মাছ রক্ষায় বৈজ্ঞানিকভাবে নিষেধাজ্ঞার দিন নির্ধারণ করা হয়। পূর্ণিমা ও অমাবস্যার সঙ্গে মিল রেখে বিশেষজ্ঞদের ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবে বৈঠকে উপস্থিত সবাই একমত হন। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, র‌্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজর রাখবে, যেন কেউ ইলিশ আহরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিপণন করতে না পারে।

নদী ভরাট ও দখল হওয়ায় ইলিশ সাগর থেকে আসতে পারছে না জানিয়ে তিনি নদী রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ওই সভায় উপস্থিত জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মহাসচিব ইকবাল মাতুব্বর বলেন, আগের বছরগুলোতে নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নিয়ে নানা সমালোচনার বিষয়টি সভায় তুলে ধরা হয়। পরে উপদেষ্টা এ বছর কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কথা জানান। বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলা উপজেলা এবং শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলা ঘেঁষে প্রবাহিত মেঘনাকে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।