ইসরাইলকে ‘গণহত্যায় দায়ী বর্ণবাদী রাষ্ট্র’ ঘােষণা অক্সফোর্ড ইউনিয়নের

- আপডেট সময় : ১১:০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২ বার পঠিত
বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও প্রভাবশালী বিতর্ক সংগঠন অক্সফোর্ড ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার ইসরাইলকে গণহত্যা জন্য দায়ী একটি অ্যাপারথেইড রাষ্ট্র’ (জাতিগত বৈষম্যমূলক আচরণ) হিসাবে ঘোষণা করেছে। বিতর্কে ২৭৮টি ভোট এবং বিপক্ষে ৫৯ ভোট দিয়েছে।
১৮২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত অক্সফোর্ড ইউনিয়ন বরাবরই বিতর্কের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার জারির পর, অক্সফোর্ড ইউনিয়নের এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
জানা গেছে, অ্যাপারথেইড একটি দক্ষিণ আফ্রিকান শব্দ, যার অর্থ ‘আলাদা রাখা’। এটি এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে বর্ণ, ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের কারণে আলাদা করে বৈষম্যের শিকার করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসনে এটি ব্যবহৃত হলেও, ইসরাইল একই ধরনের নীতি ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিতর্কে ইসরাইলের পক্ষের বক্তা ইউসেফ হাদ্দাদ বিতর্কিত মন্তব্য করেন এবং ফিলিস্তিনি ছাত্রদের সাথে উত্তেজনাপূর্ণ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে, তিনি ফিলিস্তিনি এক ছাত্রকে অপমান করেন এবং শেষ পর্যন্ত তাকে বিতর্ক কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে তিনি সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, ‘আমি ইসরাইলি বন্দিদের অপমান মেনে নিতে পারিনি।’
অন্যদিকে ইউনিয়নের সভাপতি ইব্রাহিম ওসমান-মোয়াফি সভাপতির আসন ছেড়ে প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য রাখেন। তিনি ১৯ বছর বয়সী শাবান আল-দালৌমের মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেন, যিনি গাজার আল-আকসা হাসপাতালের ওপর ইসরাইলি হামলায় জীবন্ত পুড়ে মারা যান। তিনি এই ঘটনাকে ‘গাজার হলোকাস্ট’ বলে আখ্যা দেন।
অক্সফোর্ড ইউনিয়নের বিতর্কটি সরাসরি রাজনৈতিক প্রভাব না ফেললেও এটি ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমতের পরিবর্তনের দিকটি তুলে ধরে, বিশেষ করে একাডেমিক পরিসরে।