ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫ বার পঠিত

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইব্রাহিম আকিল নামে হিজবুল্লাহর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। 

হামলার সময় বৈরুতের দক্ষিণাংশে হিজবুল্লাহর ‘এলিট ইউনিট’ রাদওয়ান-এর সদস্যদের সাথে বৈঠক করছিলেন আকিল। হামলায় এই ইউনিটটির অন্য সদস্যরাও মারা গেছেন।

লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও ৬৬ জন আহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা লেবাননের রাজধানীতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল এবং রাদওয়ান স্পেশাল ফোর্সের ইউনিটের অন্যান্য সিনিয়র কমান্ডারদের লক্ষ্য করে একটি ‘টার্গেটেড স্ট্রাইক’ চালিয়েছে।

হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে আকিলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাকে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের একজন বলে অভিহিত করেছে।তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তার বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়নি।

গত মঙ্গল ও বুধবার হিজবুল্লাহর সদস্যেদের ব্যবহার করা কয়েক হাজার তারহীন যোগাযোগ যন্ত্র পেজার ও ওয়াকিটকিতে একযোগে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৩৭ জন নিহত ও তিন হাজার আহত হয়। এত বড় ধাক্কার পরপরই আকিলসহ অন্য কমান্ডারদের হারিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে হিজবুল্লাহ।

তা ছাড়া দুই মাসেরও কম সময় আগে গত জুলাইয়ে হিজবুল্লাহর আরেক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছিল ইসরায়েল। ফুয়াদ শুকর নামেও ওই কমান্ডার হিজবুল্লাহর সামরিক শাখার শীর্ষ দায়িত্বে ছিলেন। ইরানের সহায়তাপুষ্ট লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সামরিক শাখায় শুকরের পর আকিলকে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ধরা হতো।

১৯৮০ এর দশকে হিজবুল্লাহতে যোগ দেন আকিল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্যমতে, লেবাননের বাইরে অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতেন আকিল। হিজবুল্লাহর অন্য জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতাদের মতো আকিলও তেমন একটা জনসম্মুখে বের হতেন না বা বিবৃতি দিতেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, আকিল ‘তাহসিন’ নামেও পরিচিত। ১৯৮৩ সালের এপ্রিলে বৈরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বোম হামলায় তাঁর ভূমিকা রয়েছে। এ হামলায় ৬৩ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কর্পস ব্যারাকে হামলায়ও আকিলের ভূমিকা ছিল। এ হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২৪১ মার্কিন সেনা।

এই দুই হামলার দায় স্বীকার করেছিল ইসলামিক জিহাদ অর্গানাইজেশন নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। আকিল ছিলেন এই সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্য। এসব হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আকিলকে খুঁজছিল যুক্তরাষ্ট্র। তার ব্যাপারে তথ্য দানকারী ব্যক্তিকে ৭০ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ট্যাগস :

ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

আপডেট সময় : ১০:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইব্রাহিম আকিল নামে হিজবুল্লাহর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। 

হামলার সময় বৈরুতের দক্ষিণাংশে হিজবুল্লাহর ‘এলিট ইউনিট’ রাদওয়ান-এর সদস্যদের সাথে বৈঠক করছিলেন আকিল। হামলায় এই ইউনিটটির অন্য সদস্যরাও মারা গেছেন।

লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও ৬৬ জন আহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা লেবাননের রাজধানীতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল এবং রাদওয়ান স্পেশাল ফোর্সের ইউনিটের অন্যান্য সিনিয়র কমান্ডারদের লক্ষ্য করে একটি ‘টার্গেটেড স্ট্রাইক’ চালিয়েছে।

হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে আকিলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাকে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের একজন বলে অভিহিত করেছে।তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তার বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়নি।

গত মঙ্গল ও বুধবার হিজবুল্লাহর সদস্যেদের ব্যবহার করা কয়েক হাজার তারহীন যোগাযোগ যন্ত্র পেজার ও ওয়াকিটকিতে একযোগে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৩৭ জন নিহত ও তিন হাজার আহত হয়। এত বড় ধাক্কার পরপরই আকিলসহ অন্য কমান্ডারদের হারিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে হিজবুল্লাহ।

তা ছাড়া দুই মাসেরও কম সময় আগে গত জুলাইয়ে হিজবুল্লাহর আরেক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছিল ইসরায়েল। ফুয়াদ শুকর নামেও ওই কমান্ডার হিজবুল্লাহর সামরিক শাখার শীর্ষ দায়িত্বে ছিলেন। ইরানের সহায়তাপুষ্ট লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সামরিক শাখায় শুকরের পর আকিলকে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ধরা হতো।

১৯৮০ এর দশকে হিজবুল্লাহতে যোগ দেন আকিল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্যমতে, লেবাননের বাইরে অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতেন আকিল। হিজবুল্লাহর অন্য জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতাদের মতো আকিলও তেমন একটা জনসম্মুখে বের হতেন না বা বিবৃতি দিতেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, আকিল ‘তাহসিন’ নামেও পরিচিত। ১৯৮৩ সালের এপ্রিলে বৈরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বোম হামলায় তাঁর ভূমিকা রয়েছে। এ হামলায় ৬৩ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কর্পস ব্যারাকে হামলায়ও আকিলের ভূমিকা ছিল। এ হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২৪১ মার্কিন সেনা।

এই দুই হামলার দায় স্বীকার করেছিল ইসলামিক জিহাদ অর্গানাইজেশন নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। আকিল ছিলেন এই সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্য। এসব হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আকিলকে খুঁজছিল যুক্তরাষ্ট্র। তার ব্যাপারে তথ্য দানকারী ব্যক্তিকে ৭০ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।