কাউনিয়ার শ্রমিকলীগ নেতা শিহাব এখনও বেপরোয়

- আপডেট সময় : ১২:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ৭৩ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার ॥ নগরীতে জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা সহ স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে বরিশাল কাউনিয়া থানায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনার পরই সোমবার (২৫ নভেম্বর) কাউনিয়া প্রধান সড়ক পানির ট্যাংকি সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দা চায়না দেবনাথ এ লিখিত অভিযোগ দেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল কাউনিয়া থানার এসআই আনিচ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর বিষয়টির পরিষ্কার বোঝা যাবে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে স্থানীয় মোঃ আমিনুল হকের কাছ থেকে ২ পয়েন্ট ৬৮ শতাংশ জমি দলিলমূলে ক্রয় করে চায়না দেবনাথ। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে আমিনুল হকের ভাই এ বি এম রুহুল আমিন (৭০) ও তাদের ভাইয়ের ছেলে মোঃ সেহাবুল হক শিহাব (২৮) সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় চায়না দেবনাথ এর বসতঘর সহ স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়। এমনকি জমির পাথে থাকা সাইনবোর্ডটিও ভেঙে ফেলে হামলাকারীরা। এ সময় চায়না দেবনাথ বাঁধা প্রদান করলে হামলাকারীরা অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ মারধর করবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি প্রদান করে। হামলাকারী মেহবুল হক সিহাব আ.লীগের ক্ষমতার দাপটে বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারর উপর হামলা সহ গত ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলার সাথে জড়িত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাউনিয়া মৌজার জেল নং ৪৭ এর ৫৯২২ খতিয়ানের ৯৭০/১২৩৬ নং দাগ থেকে ২ পয়েন্ট ৬৮ শতাংশ জমি দলিলমূলে ক্রয় করেছিল চায়না দেবনাথ। তিনি হিন্দু নিরীহ মানুষ হওয়ায় মেহবুল হক সিহাব তার সাথে ঝগড়া বিবাদ শুরু করছে। বিষয়টি আলোচনায় না বসে সোমবার বহিরাগতদের নিয়ে হামলা চালায়। সংখ্যালঘু পরিবারের উপর এমন হামলা করায় এলাকায় সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠছে মেহবুল হক সিহাব ও তাদের পরিবার। স্থানীয় এক সূত্র জানায়, জাতীয় শ্রমিকলীগ বরিশাল মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সেহাবুল হক শিহাব।
জমি বিক্রতা মোঃ আমিনুল হক এর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় জমি ক্রেতা চায়না দেবনাথ বলেন, জমি ক্রয়ের পর বিক্রেতা আমিনুল হক পারিবারিকভাবেই ২ পয়েন্ট ৬৮ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দেন। সেই অনুযায়ী জমিতে দেয়াল নিমার্ণ সহ একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখি। হঠাৎ সোমবার সকালে জমি বিক্রেতার ভাই ও ভাইয়ের ছেলে মিলে কয়েকজন লোক নিয়ে ওই দেয়াল ও সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। হামলার সময় তারা আমার পরিবারের সদস্যদের হুমকিও দেয় এবং গালাগালি করে।
হামলাকারী মেহবুল হক সিহাব মুঠোফোনে প্রথমে তিনি ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে জানান। একই সাথে অনেক সাংবাদিক এর সাথে তার পরিচয় বলে জানান দেন।