ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কান্নায় ভেঙে পড়লেন মেসি

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ২৭ বার পঠিত

এই যদি শেষ হয়, তবে শেষটা সুন্দর হলেও পারতো।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিওনেল মেসির কান্নাভেজা ছবির ক্যাপশনে এমনই এক বাক্য লিখেছেন কোনো এক ভক্ত। লিওনেল মেসিকে খুব একটা কাঁদতে দেখেননি ভক্তরা। ২০১৬ সালে চিলির কাছে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারার পর এই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন লিও মেসি। এবার ৮ বছর পর সেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই আবারও চোখের পানি ঝরালেন মেসি।

মায়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে নিশ্চিতভাবেই নিজের শেষ কোপা আমেরিকা ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মেসি। ম্যাচের আগেই অবশ্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শুরুর আগেই কলম্বিয়ার উগ্র ভক্তদের তোপের মুখে পড়েন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের স্বজনেরা। পুরো ম্যাচে সেই মানসিক চাপ থেকে আর বেরুনো হয়নি তাদের।

এরপরেও মাঠে লিওনেল মেসির মতো তারকা ছিলেন বলেই কিনা ভরসা ছিল আর্জেন্টিনার জন্য। ৩৭ মিনিটেই ইনজুরিতে পড়েছিলেন। আক্রমণে যাওয়ার পরেই তাকে কড়া ট্যাকেল করেন কলম্বিয়ার রাইটব্যাক সান্তিয়াগো আরিয়াস। কড়া ট্যাকেলের পর সেখানেই গোড়ালি মচকায় লা পুলগার। এরপরেই ব্যাথানাশক দিয়ে সাময়িক চিকিৎসা চলে মেসির। তার অভিব্যক্তিই বলে দিয়েছিল বাজে ট্যাকেলের শিকার হয়েছেন গোললাইনের কাছে।

তবু অধিনায়ক মেসি সময় নেননি। সাইডলাইনে গেলেও খেলায়ও ফিরে আসেন খানিক পরেই। প্রথমার্ধ শেষ করেছেন সতর্কভাবেই। এরপরের ২৫ মিনিট বিরতির পর আবার ফিরলেন মাঠে। তবে এবারের মেসি আরও বেশি সাবধানী। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩ মিনিটে এলো দুঃস্বপ্নের ক্ষণ। লিওনেল মেসি এবার নিজেই ভারসাম্য হারালেন মচকে যাওয়া পায়ে।

সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি মেসির। মাঠের চিকিৎসার পর আর্মব্যান্ড তুলে দিলেন আনহেল ডি মারিয়ার কাছে। সাইডবেঞ্চে বসেই এরপর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এলএমটেন। বোঝাই গিয়েছে, শেষটা এমন চাননি মেসি। কান্নাভেজা মেসির পাশে লিয়ান্দ্রো পারেদেস। যে পারেদেস বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসিকে জড়িয়ে ধরেছিলেন সবার আগে।

অনেকেই এই ম্যাচকে দেখেছিলেন লিওনেল মেসির শেষ ম্যাচ হিসেবে। আর্জেন্টিনার সাংবাদিকদের অনেকেই বিশ্বাস করেন, এটাই শেষ। তবে এমনই যদি শেষ হয়, সেটা হয়ত মেসির মতো করে কাঁদাবে আরও অনেককেই। নিজের শেষ ম্যাচটাকে মেসি শেষ করতে পারেননি। শিরোপার রঙে রাঙাতে পারেন কিনা সেটাই আপাতত দেখার অপেক্ষা।

ট্যাগস :

কান্নায় ভেঙে পড়লেন মেসি

আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

এই যদি শেষ হয়, তবে শেষটা সুন্দর হলেও পারতো।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিওনেল মেসির কান্নাভেজা ছবির ক্যাপশনে এমনই এক বাক্য লিখেছেন কোনো এক ভক্ত। লিওনেল মেসিকে খুব একটা কাঁদতে দেখেননি ভক্তরা। ২০১৬ সালে চিলির কাছে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারার পর এই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন লিও মেসি। এবার ৮ বছর পর সেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই আবারও চোখের পানি ঝরালেন মেসি।

মায়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে নিশ্চিতভাবেই নিজের শেষ কোপা আমেরিকা ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মেসি। ম্যাচের আগেই অবশ্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শুরুর আগেই কলম্বিয়ার উগ্র ভক্তদের তোপের মুখে পড়েন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের স্বজনেরা। পুরো ম্যাচে সেই মানসিক চাপ থেকে আর বেরুনো হয়নি তাদের।

এরপরেও মাঠে লিওনেল মেসির মতো তারকা ছিলেন বলেই কিনা ভরসা ছিল আর্জেন্টিনার জন্য। ৩৭ মিনিটেই ইনজুরিতে পড়েছিলেন। আক্রমণে যাওয়ার পরেই তাকে কড়া ট্যাকেল করেন কলম্বিয়ার রাইটব্যাক সান্তিয়াগো আরিয়াস। কড়া ট্যাকেলের পর সেখানেই গোড়ালি মচকায় লা পুলগার। এরপরেই ব্যাথানাশক দিয়ে সাময়িক চিকিৎসা চলে মেসির। তার অভিব্যক্তিই বলে দিয়েছিল বাজে ট্যাকেলের শিকার হয়েছেন গোললাইনের কাছে।

তবু অধিনায়ক মেসি সময় নেননি। সাইডলাইনে গেলেও খেলায়ও ফিরে আসেন খানিক পরেই। প্রথমার্ধ শেষ করেছেন সতর্কভাবেই। এরপরের ২৫ মিনিট বিরতির পর আবার ফিরলেন মাঠে। তবে এবারের মেসি আরও বেশি সাবধানী। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩ মিনিটে এলো দুঃস্বপ্নের ক্ষণ। লিওনেল মেসি এবার নিজেই ভারসাম্য হারালেন মচকে যাওয়া পায়ে।

সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি মেসির। মাঠের চিকিৎসার পর আর্মব্যান্ড তুলে দিলেন আনহেল ডি মারিয়ার কাছে। সাইডবেঞ্চে বসেই এরপর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এলএমটেন। বোঝাই গিয়েছে, শেষটা এমন চাননি মেসি। কান্নাভেজা মেসির পাশে লিয়ান্দ্রো পারেদেস। যে পারেদেস বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসিকে জড়িয়ে ধরেছিলেন সবার আগে।

অনেকেই এই ম্যাচকে দেখেছিলেন লিওনেল মেসির শেষ ম্যাচ হিসেবে। আর্জেন্টিনার সাংবাদিকদের অনেকেই বিশ্বাস করেন, এটাই শেষ। তবে এমনই যদি শেষ হয়, সেটা হয়ত মেসির মতো করে কাঁদাবে আরও অনেককেই। নিজের শেষ ম্যাচটাকে মেসি শেষ করতে পারেননি। শিরোপার রঙে রাঙাতে পারেন কিনা সেটাই আপাতত দেখার অপেক্ষা।