গাজা উপত্যকায় বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা চালানো হলে আটক জিম্মিদের হত্যা করা হবে বলে ইসরাইলকে হুমকি দিয়েছে হামাস। এক অডিও বার্তায় এই সতর্কবার্তা দিয়েছে গোষ্ঠীটির অ্যালার্ম উইং।
সেখানে বলা হয়, ‘আমাদের জনগণকে লক্ষ্য করে যদি আর একটি হামলাও পরিচালিত হয়, সেক্ষেত্রে প্রতিটি হামলার জবাব হিসেবে একজন করে বেসামরিক জিম্মির প্রাণ যাবে।’
অডিও বার্তায় আরও দাবি করা হয়, ইসরাইলি বাহিনীর বেপরোয়া বোমাবর্ষণের কারণে ইতোমধ্যেই ৪ জন জিম্মির প্রাণ গেছে।
২০২১ সালের জুন মাসের যুদ্ধবিরতির পর প্রায় ২ বছর ধরে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা শেষে ৭ অক্টোবর শনিবার ভোররাতে ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। একই সময়ে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে হামাস যোদ্ধারা।
যুদ্ধের প্রথম দিকে খানিকটা অপ্রস্তুত থাকলেও অল্প সময়ের মধ্যেই পূর্ণ শক্তি নিয়ে ময়দানে নামে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শনিবারের পর মাত্র দুই দিনের নোটিশে ৩ লাখ সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছেন।
সেই সঙ্গে হামাসের উদ্দেশে এক সতর্কবার্তায় বলেছেন, ‘ইসরাইল যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। আমরা এই যুদ্ধ চাইনি। সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও বিধ্বংসী কায়দায় আমাদের ওপর এই যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
‘ইসরাইল এই যুদ্ধ শুরু করেনি, কিন্তু এ যুদ্ধের শেষ ইসরাইলই করবে।’
গত সোমবার গাজা ভূখণ্ডে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল।
গত শনিবার হামাস হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৬ শ’রও বেশি মানুষ। এই নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯০০ জন ইসরায়েলের। বাকি ৭ শতাধিক মানুষ ফিলিস্তিনের।