ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার বিষয়ে ‘ঐক্যবদ্ধ’ অবস্থানের ওপর জোর দিলো মিশর ও জর্ডান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২৪ বার পঠিত

মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বুধবার গাজার বিষয়ে তাদের দেশের ‘ঐক্যবদ্ধ’ অবস্থানের ওপর জোর দিয়েছেন।  

মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই ঘোষণা এলো।

মিশরীয় প্রেসিডেন্সির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুই নেতা যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনে মিশর ও জর্ডানের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিশ্চিত করেছেন, যাতে ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উৎখাত না করা হয়।’

জর্ডানের রাজকীয় আদালতের আরেকটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে তাদের ‘একীভূত’ অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

উভয় বিবৃতিতে ট্রাম্পের সঙ্গে ‘ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি’ অর্জনের লক্ষ্যে সহযোগিতার কথাও বলা হয়েছে।

মিশর ও জর্ডান গাজা নিয়ে ডােনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর আরব প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যেখানে গাজার ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের কথা বলা হয়েছে।

ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, যদি এই দুই দেশ ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ না করে, তবে তিনি তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সহায়তা ‘বন্ধ’ করতে পারেন।

মঙ্গলবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজা আবদুল্লাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অবিচল। এটি আরব বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান।’

মিশর ঘোষণা করেছে, চলতি মাসে তারা আরব দেশগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে এবং গাজার পুনর্গঠনের জন্য এমন একটি ‘সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি’ উপস্থাপন করবে, যা ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতে টিকিয়ে রাখবে।

মিশর ও জর্ডান উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং তারা বৈদেশিক সহায়তার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।  আমেরিকা তাদের অন্যতম প্রধান দাতা দেশ।

ট্যাগস :

গাজার বিষয়ে ‘ঐক্যবদ্ধ’ অবস্থানের ওপর জোর দিলো মিশর ও জর্ডান

আপডেট সময় : ১০:৩৬:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বুধবার গাজার বিষয়ে তাদের দেশের ‘ঐক্যবদ্ধ’ অবস্থানের ওপর জোর দিয়েছেন।  

মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই ঘোষণা এলো।

মিশরীয় প্রেসিডেন্সির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুই নেতা যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনে মিশর ও জর্ডানের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিশ্চিত করেছেন, যাতে ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উৎখাত না করা হয়।’

জর্ডানের রাজকীয় আদালতের আরেকটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে তাদের ‘একীভূত’ অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

উভয় বিবৃতিতে ট্রাম্পের সঙ্গে ‘ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি’ অর্জনের লক্ষ্যে সহযোগিতার কথাও বলা হয়েছে।

মিশর ও জর্ডান গাজা নিয়ে ডােনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর আরব প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যেখানে গাজার ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের কথা বলা হয়েছে।

ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, যদি এই দুই দেশ ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ না করে, তবে তিনি তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সহায়তা ‘বন্ধ’ করতে পারেন।

মঙ্গলবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজা আবদুল্লাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অবিচল। এটি আরব বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান।’

মিশর ঘোষণা করেছে, চলতি মাসে তারা আরব দেশগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে এবং গাজার পুনর্গঠনের জন্য এমন একটি ‘সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি’ উপস্থাপন করবে, যা ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতে টিকিয়ে রাখবে।

মিশর ও জর্ডান উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং তারা বৈদেশিক সহায়তার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।  আমেরিকা তাদের অন্যতম প্রধান দাতা দেশ।