ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ময়মনসিংহে দুই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১১ কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গুলিসহ গ্রেপ্তার, মদ উদ্ধার ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনিত করলো পাকিস্তান বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে নতুনবাজারে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের ব্লকেড, যান চলাচল বন্ধ ‘এক কলেই থামবে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ’ বিএনপির কাছে নিজ দলের কর্মীরাও নিরাপদ নন: মুফতি ফজলুল করীম পল্টনে ডিবির অভিযানে মাদক কারবারিদের গুলি, দুই পুলিশ সদস্য আহত প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড জেলেদের লক্ষ্য করে গুলির অভিযোগ কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে, নিখোঁজ ২ আগামী পাঁচ দিন বজ্রবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা

চট্টগ্রামে সয়াবিনের খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ, বেশি নিলেই ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫ ৪৭ বার পঠিত

ভোজ্যতেল খুচরায় ১৬০ টাকা লিটার হিসেবে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমদানিকারকরা ১৫৩ টাকা, পাইকাররা ১৫৫ টাকা এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা ১৬০ টাকা প্রতি লিটার খোলা তেল বিক্রি করবে। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এ দর থাকবে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় নগরের সার্কিট হাউসে ভোজ্যতেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে ওই দাম নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত দামের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এতে ব্যবসায়ী গ্রুপ টিকে ও সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা এবং ভোক্তা সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটের সুযোগে অনেকেই খোলা তেল বেশি দামে বিক্রি করছে। তাই আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত দামের বাইরে গিয়ে কেউ বিক্রি করলে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খোলা সয়াবিন তেল খুচরায় সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায় বিক্রি করা যাবে। কেউ চাইলে এর চেয়ে কমেও বিক্রি করতে পারবে। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নেওয়া যাবে না। সিদ্ধান্ত না মানলে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে সোমবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট পরিস্থিতি দেখতে দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে যান সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। পরিদর্শনে গিয়ে ভোজ্যতেল উধাও হওয়ার সত্যতা পেয়ে তেলের উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ীদের এ বৈঠকে ডাকেন তারা।

ট্যাগস :

চট্টগ্রামে সয়াবিনের খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ, বেশি নিলেই ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ১২:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

ভোজ্যতেল খুচরায় ১৬০ টাকা লিটার হিসেবে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমদানিকারকরা ১৫৩ টাকা, পাইকাররা ১৫৫ টাকা এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা ১৬০ টাকা প্রতি লিটার খোলা তেল বিক্রি করবে। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এ দর থাকবে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় নগরের সার্কিট হাউসে ভোজ্যতেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে ওই দাম নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত দামের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এতে ব্যবসায়ী গ্রুপ টিকে ও সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা এবং ভোক্তা সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটের সুযোগে অনেকেই খোলা তেল বেশি দামে বিক্রি করছে। তাই আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত দামের বাইরে গিয়ে কেউ বিক্রি করলে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খোলা সয়াবিন তেল খুচরায় সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায় বিক্রি করা যাবে। কেউ চাইলে এর চেয়ে কমেও বিক্রি করতে পারবে। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নেওয়া যাবে না। সিদ্ধান্ত না মানলে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে সোমবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট পরিস্থিতি দেখতে দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে যান সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। পরিদর্শনে গিয়ে ভোজ্যতেল উধাও হওয়ার সত্যতা পেয়ে তেলের উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ীদের এ বৈঠকে ডাকেন তারা।