ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা নামলো ৯.৮ ডিগ্রিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫ ১৭ বার পঠিত

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এটি মৌসুমের দ্বিতীয় ধাপের শৈত্যপ্রবাহ। এর আগে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।

গতকাল থেকেই তীব্র শীতের প্রকোপ ছিল। যারা ঘরের বাইরে এসেছিলেন তারা তীব্র শীতে কষ্ট পেয়েছিলেন। রাত ৮টার আগেই শহরে মানুষের চলাফেরা কম দেখা গেছে। তীব্র শীতের কারণে অনেকেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরেছেন।

আজ সকাল থেকে কুয়াশা ছিল। আকাশে সূর্য দেখা যায়নি। ভোরের দিকে যানবাহন চলেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। তীব্র শীতের কারণে রিকশা-ভ্যান চালকরা যাত্রী পাননি।

শীতজনিত রোগীর চাপ অব্যাহত আছে হাসপাতালগুলোতে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি। ধারণক্ষমতার তিনগুণ রোগী ভর্তি আছে হাসপাতালে। হাসপাতালে ভর্তি বেশিরভাগ রোগীই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘এই সময়ে শিশুদের প্রতি বেশি যত্নশীল হতে হবে। কোনোক্রমেই যাতে তাদের ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। চার-পাঁচ ঘণ্টা আগে রান্না করা খাবার না খাইয়ে শিশুদের গরম টাটকা খাবার খাওয়াতে হবে। বাইরের খাবার কোনোক্রমেই খাওয়ানো যাবে না।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন বলেন, ‘আজ চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা আরও তিন-চারদিন থাকতে পারে। দেরিতে দেখা দেবে সূর্য।’

ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা নামলো ৯.৮ ডিগ্রিতে

আপডেট সময় : ১২:০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এটি মৌসুমের দ্বিতীয় ধাপের শৈত্যপ্রবাহ। এর আগে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।

গতকাল থেকেই তীব্র শীতের প্রকোপ ছিল। যারা ঘরের বাইরে এসেছিলেন তারা তীব্র শীতে কষ্ট পেয়েছিলেন। রাত ৮টার আগেই শহরে মানুষের চলাফেরা কম দেখা গেছে। তীব্র শীতের কারণে অনেকেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরেছেন।

আজ সকাল থেকে কুয়াশা ছিল। আকাশে সূর্য দেখা যায়নি। ভোরের দিকে যানবাহন চলেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। তীব্র শীতের কারণে রিকশা-ভ্যান চালকরা যাত্রী পাননি।

শীতজনিত রোগীর চাপ অব্যাহত আছে হাসপাতালগুলোতে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি। ধারণক্ষমতার তিনগুণ রোগী ভর্তি আছে হাসপাতালে। হাসপাতালে ভর্তি বেশিরভাগ রোগীই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘এই সময়ে শিশুদের প্রতি বেশি যত্নশীল হতে হবে। কোনোক্রমেই যাতে তাদের ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। চার-পাঁচ ঘণ্টা আগে রান্না করা খাবার না খাইয়ে শিশুদের গরম টাটকা খাবার খাওয়াতে হবে। বাইরের খাবার কোনোক্রমেই খাওয়ানো যাবে না।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন বলেন, ‘আজ চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা আরও তিন-চারদিন থাকতে পারে। দেরিতে দেখা দেবে সূর্য।’