জেলখানায় আরাম আয়েশে আছে সন্ত্রাসী হারিছ
- আপডেট সময় : ০৩:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৩ বার পঠিত
জেল খানায় নিরাপদ জীবন যাপন করছেন হাজার কোটি টাকা লুট করা সন্ত্রাসের গড ব্রাদার দানব হারিছুর রহমান ।
বরিশালের উত্তর জনপদের সন্ত্রাসীদের নিরাপদ সহযোগি ও গড ব্রাদার দানব হারিস নামে পরিচিত গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও গৌরনদী পৌরসভার সবেক তিনবারের ভোট চোর মেয়র মো:হারিছর রহমান হারিছ স্ব ইচ্ছায় পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে জেলখানায় নিরাপদে রয়েছেন।
স্ব ইচ্ছায় ধরা দেয়ায় উভয় দিকে লাভে আছেন তিনি, বাহিরে থাকলে নিজ অনুসারী নেতা কর্মি সমর্থকদের অর্থ কড়ি ও থাকার জায়গা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা লাগতো, আর নিজের জীবন ছিল অনিরাপদ। কয়েক বছর পরে জেল থেকে বেরিয়ে এসে বুলি আওরাবেন তিনি জেল জুলুম নেতা।
একাধিক দলীয় নেতা কর্মিরা জানান, ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পলাতক ছিলেন চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। বিভিন্ন মামলায় সাজা হওয়ায় আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ৯বম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন নি ।
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে এবং বরিশাল- ১ র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তালুকদার মো: ইউনুস। যে কারনে হাসানাত আব্দুল্লাহ পাচ বছর কোনো পাওয়ার পরিচালিত করতে পারেন নি! সেরালের বাড়িতে থেকে গল্প গুজব করেই পার করেছেন পাচ বছর।
দশম সংসদ নির্বাচনে একক প্রার্থী হয়ে বিনা প্রতিদন্দিতায় আবার সংসদ সদস্য হলে তার সেকেন ইন কমান্ড হিসাবে মেয়র হারিছ সব কিছু দেখভাল করতে থাকেন, কারন হারিছ ছিল বোর্ডস্ট্যান্ড করা ছাত্র ঢাবির মেধাবী ছাত্র । তার মেধাকে ভা খাজে ব্যবহার না করে ঢাকায় বনে বিভিন্ন কুকর্মে পরিচালিত করা শুরু করেন!
কুট কৌশলী হারিছ হাসানাতের আস্থা অর্জন করতেও সময় নেন নি, ঝাড়ফুক দিয়ে হাসানাত আব্দুল্লাহকে বশ করে নিজদলীয নেতা কর্মিদের প্রতি সদয় না হয়ে জুলুম করা শুরুর করেন ! হামলা মামলা হুমকি মারধর করে হাসানাত থেকে বিতারিত করে আধিপত্ব্য বিস্তার করেন । নিয়ন্ত্রন নেন অপরাধ জগত, ডিস ব্যবসা,সেটেলমেন্ট করা,শালিশ দরবার,চাদাবাজি,টেন্ডারবাজি মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নেয়া সহ নানা অপকর্ম অন্যায় অনিয়মে জড়িয়ে পরেন।
দ্বিতীয়বার পৌর মেয়র হওয়ার পরে তাকে আর ঠেকায় কে?
ধরাকে সরাজ্ঞাণ করা শুরু করেন, উপজেলা পরিষদে হামলা ,চেয়ারম্যান শাহআলম খানকে লাঞ্চিত, শতাধিক মটর সাইকেল ভাংচুর, পরবর্তী উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মেরীকে লাঞ্চিত অপমানিত করা,মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ত্যাগী নেতা কালিয়া দমনগুহকে অপমান লাঞ্চিত করা, তার বড় ছেলে মাহিলাড়ার চেয়ারম্যন পিকলুগুহ ও ছোট ছেলে যুবলীগ নেতা পিন্টু গুহকে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে জখম করা, গ্রুপিং তৈরী করে কসবার রুমন ফকিরকে হত্যা, ছাত্রনেতা ফেরদাউস তালুকদারকে চিরতরে পঙ্গু করা, মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রন নিতে রাসেল বেপারীকে হত্যা ও ত্যাগী নেতা কর্মি দের নির্বিচারে মারধর করা, হামলা মামলা দিয়ে হয়রানী করা সহ এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন।
শালিশের নামে বৃদ্ধ নারী পুরুষ বীরমুক্তিযোদ্ধা বিএনপি জামায়াতকে হয়রানী পনবরজে আগুন দেয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা মারা , নির্যাতন করা, হামলা মামলা করে ভয় দেখিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করানো, গণঅধিকারের নেতা ইলিয়াস মিয়াকে অপহরন করা,নানা অপরাধ ও অপকর্ম চালান হারিছ।
হারিছেরও খায়েশ ওঠে হাসানাত আব্দুল্লাহর মতন বিনা প্রতিদন্দিতায় মেয়র হওয়ার ! সেই খায়েশ পুরন হলো না সাংবাদিক টি এম তুহিনের জন্য। গৌরনদী পৌরসভায় হারিছের শক্ত প্রতিদন্দি ছিলেন সাংবাদিক তুহিন।
হারিছের বিরুদ্ধে কেহ মুখ খুলতে সাহস পেতো না, কোনো সাংবাদিকও তরি বিরুদ্ধে লিখতে সাহস পেতো না, #টি_এম_তুহিন সাংবাদিক হারিছের অপরাধ অপকর্ম নিয়ে লেখার কারনে সাংবাদিক তুহিনকে হত্যার জন্য তার পৌষ্য ক্যাডারদের নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। মারা গেছে খেবে ফেলে রেখে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বীর দর্পে জলে যায়, কোনো পথচারিদেরকেও উদ্ধার করতে দেয়নি , পরে কয়েকজন রিক্সাওলা ও সাংবাদিক বিএম বেলাল তুহিনকে উদ্ধার করে হাসপাতাল পৌছান। এর জন্যও সাংবাদিক বেলালকে মারার স্বরযন্ত্র করে, ঠুনকো বিষয় নিয়ে লাঞ্চিত করে হারিছ।
এত এত কিছু করার পরে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) হারিছ বোরকা পরে নদীর ওপাড়ে পালিয়ে গিয়ে মুলাদীর নাজিরপুরের চেয়ারম্যান বাদল র বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে ঢাকায় আত্মগোপন করেন।
প্রতিনিয়ত হারিছকে খুজতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গৌরনদীর লোকজন হানা দেয়, পাবলিকের কাছে ধরা পরলে মে,রে ফেলা হবে , বা মাা রা পরবেন নিশ্চিৎ জেনে কারও পরামর্শে পুলিশের কাছে নিজ উদ্যোগে ধরা দেন। আটকের খবর পেয়ে দখিনের প্রবেশ মুখ ভুরঘাটায় হাজপরো নারী পুরুষ ঝাড়ু জুদা লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হয়, এখবর পুলিশ জনতে পেরে ও গোয়েন্দা খবর ছিল পুলিশের গাড়ি থেকে হারিছকে তুলে নিয়ে মেরে বা পুড়িয়ে ফেলা হতে পারে ! এবং গৌরনদীতে দফায় দফায় বিক্ষোভ জুতা ও ঝাড়ু মিছিল হচ্ছে। তাৎক্ষনিক ওসি মো ইউনুস মিয়া ফোন করে হারিছকে বহন করা গাড়িটি গোপালগঞ্জ পিরোজপুর হয়ে বরিশাল জেলখানায় বিকেলে সোপর্দ করান। আদালত প্রাঙ্গনেও শত শত লোক জড়ো ছিল । নিরাপত্তা
এরপরে হারিছের বিরুদ্ধে চার টি মামলা রুজু হয়।
জেলা খানায় আয়েশী জীবন চালান হারিছ, রিমান্ডের নামে হারিছ নতুন জামাইর আদর পাচ্ছেন।
জেল খানায় নিরাপদ জীবন যাপন করছেন হাজার কোটি টাকায় লুট করা দানব হারিছুর রহমান ।