ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকনাফে অনুপ্রবেশকালে নারী ও শিশুসহ ৩৭ রোহিঙ্গা আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৬ বার পঠিত

কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে ২১ জন শিশু, ১২ জন নারী ও চারজন পুরুষ। তাদের সবার বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডু শহরের বিভিন্ন গ্রামে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটক রোহিঙ্গা রেজিয়া বেগম বলেন, আরাকান আর্মি আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের গ্রামে বিমান হামলা করে; এতে অনেকেই মারা গেছে। তাই প্রাণে বাঁচতে মিয়ানমারের নাফ নদীর তীরে আসি। সেখান থেকে একটা ট্রলারে করে বাংলাদেশে চলে আসি। আমাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে দালালরা।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, দালাল চক্রের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসে। পরে তাদের বাংলাদেশ অংশের নাফ নদীর তীরে নামিয়ে দেয়। এদের মধ্য বেশির ভাগই শিশু। প্রাথমিকভাবে তাদের খাবার দেওয়া হয়েছে।

ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে স্থানীয়দের সহায়তায় ২১ শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরে তদেরকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ট্যাগস :

টেকনাফে অনুপ্রবেশকালে নারী ও শিশুসহ ৩৭ রোহিঙ্গা আটক

আপডেট সময় : ১১:২৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে ২১ জন শিশু, ১২ জন নারী ও চারজন পুরুষ। তাদের সবার বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডু শহরের বিভিন্ন গ্রামে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটক রোহিঙ্গা রেজিয়া বেগম বলেন, আরাকান আর্মি আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের গ্রামে বিমান হামলা করে; এতে অনেকেই মারা গেছে। তাই প্রাণে বাঁচতে মিয়ানমারের নাফ নদীর তীরে আসি। সেখান থেকে একটা ট্রলারে করে বাংলাদেশে চলে আসি। আমাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে দালালরা।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, দালাল চক্রের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসে। পরে তাদের বাংলাদেশ অংশের নাফ নদীর তীরে নামিয়ে দেয়। এদের মধ্য বেশির ভাগই শিশু। প্রাথমিকভাবে তাদের খাবার দেওয়া হয়েছে।

ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে স্থানীয়দের সহায়তায় ২১ শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরে তদেরকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।