ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তত্বাবধায়ক,ম্যা‌নেজার ব্যবস্থাকা‌রি,‌দেখভাল করার লোক কা‌কে ব‌লে ?

এখনই সময় ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫৫ বার পঠিত

একটা মেসের সদস্য সংখ্যা ৩০ । শৃঙ্খলার স্বার্থে একজনকে ম্যানেজার বানানো হবে, বানানো হবে বললে আসলে ভুল হবে উনি নিজেই ম্যানেজারের পদ সিস্টেমে দখল নিলেন । পদটা তো আর মাগনা না, বেতন আছে,আলাদা রুম আছে, সাথে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ।

মাসে মাসে সবাই যে টাকা পয়সা দেয়, সেই অনুপাতে বাজার সদাই করা হয়, ইন্টারনেট বিল , বিদ্যুৎ বিল,বাবুর্চি বিল প্রভৃতি দেয়া হয়। ওমা কিছু দিন পর দেখি ম্যানেজার বলা শুরু করছে, আমি তোমাদের খাওয়াই, দাওয়াই। বেশী তেরি বেরি করলে খাওন বন্ধ করে দিবো, বিদ্যুৎ, পানি বন্ধ করে দিবো। যাই হোক শেষ মেশ বিক্ষুব্ধ মেসের সদস্যদের দৌড়ানি খেয়ে ম্যানেজার হোস্টেল ছেড়েই পালালো।

সবাই মিলে শলাপরামর্শ করে নতুন একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিলেন। নতুন তত্ত্বাবধায়ক হোস্টেলের সদস্যদের জন্য বাজার করতে গিয়ে দেখে, দোকানদারের কাছে আগের ম্যানেজারের লাখ লাখ টাকা বাকী। তারা নতুন করে সদাই দিবেন না। পরদিন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন
আসলো হোস্টেলে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ার জন্য। বিদ্যুতের লোকজন জানালো, আগের বিল সব বকেয়া। সেসব শোধ না করলে বিদ্যুৎ মিলবে না৷
হোস্টেলের সদস্যরা এখন খেয়ে না খেয়ে আধা পেটে অন্ধকার জীবন যাপন করছেন। ওদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার থেকে সাবেক সুদানি ম্যানেজারের চ্যালা, চামুণ্ডা, চাটার গুষ্টি এই বলে,
হুঁক্কা হুয়ো ডাক তুলছে
“আগেই ভালো ছিলাম, বলছিলাম না, উনার কোনও বিকল্প নাই” এরকম কথা শোনাটাই তো বাস্তবতা

ট্যাগস :

তত্বাবধায়ক,ম্যা‌নেজার ব্যবস্থাকা‌রি,‌দেখভাল করার লোক কা‌কে ব‌লে ?

আপডেট সময় : ০৩:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

একটা মেসের সদস্য সংখ্যা ৩০ । শৃঙ্খলার স্বার্থে একজনকে ম্যানেজার বানানো হবে, বানানো হবে বললে আসলে ভুল হবে উনি নিজেই ম্যানেজারের পদ সিস্টেমে দখল নিলেন । পদটা তো আর মাগনা না, বেতন আছে,আলাদা রুম আছে, সাথে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ।

মাসে মাসে সবাই যে টাকা পয়সা দেয়, সেই অনুপাতে বাজার সদাই করা হয়, ইন্টারনেট বিল , বিদ্যুৎ বিল,বাবুর্চি বিল প্রভৃতি দেয়া হয়। ওমা কিছু দিন পর দেখি ম্যানেজার বলা শুরু করছে, আমি তোমাদের খাওয়াই, দাওয়াই। বেশী তেরি বেরি করলে খাওন বন্ধ করে দিবো, বিদ্যুৎ, পানি বন্ধ করে দিবো। যাই হোক শেষ মেশ বিক্ষুব্ধ মেসের সদস্যদের দৌড়ানি খেয়ে ম্যানেজার হোস্টেল ছেড়েই পালালো।

সবাই মিলে শলাপরামর্শ করে নতুন একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিলেন। নতুন তত্ত্বাবধায়ক হোস্টেলের সদস্যদের জন্য বাজার করতে গিয়ে দেখে, দোকানদারের কাছে আগের ম্যানেজারের লাখ লাখ টাকা বাকী। তারা নতুন করে সদাই দিবেন না। পরদিন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন
আসলো হোস্টেলে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ার জন্য। বিদ্যুতের লোকজন জানালো, আগের বিল সব বকেয়া। সেসব শোধ না করলে বিদ্যুৎ মিলবে না৷
হোস্টেলের সদস্যরা এখন খেয়ে না খেয়ে আধা পেটে অন্ধকার জীবন যাপন করছেন। ওদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার থেকে সাবেক সুদানি ম্যানেজারের চ্যালা, চামুণ্ডা, চাটার গুষ্টি এই বলে,
হুঁক্কা হুয়ো ডাক তুলছে
“আগেই ভালো ছিলাম, বলছিলাম না, উনার কোনও বিকল্প নাই” এরকম কথা শোনাটাই তো বাস্তবতা