ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাপসের ১০০ নামে কোটির সঞ্চয়পত্র, অনুসন্ধানে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ৩৯ বার পঠিত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের নামে ১০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোপন অনুসন্ধানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এবার কমিশনের বিশেষ একটি দল এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

সূত্র জানায়, দুদকের গোপন অনুসন্ধানে তাপসের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রকাশ্য অনুসন্ধানে তার নামে-বেনামে আরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেরিয়ে আসবে।

দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, সাবেক মেয়র তাপস গোপালগঞ্জে অস্তিত্বহীন মৎস্য খামার দেখিয়ে মুনাফা হিসেবে ৩৫ কোটি টাকা উল্লেখ করেছেন। পরে তিনি এ টাকার মধ্য থেকে ৩২ কোটি টাকায় মধুমিতা ব্যাংকের শেয়ার কেনেন। তিনি এ ব্যাংকের পরিচালক। আর ওই ১০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র কিনেছেন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।

দুদক জানায়, ঢাকার কামরাঙ্গীচর এলাকার প্রায় ৩০০টি বাড়ি কোথাও পূর্ণ, কোথাও আংশিকভাবে দখল করেছেন সাবেক মেয়র। এ ক্ষেত্রে ডিএসসিসি ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান ও মো. জাহাঙ্গীর তাকে সহায়তা করেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের সাবেক একজন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষার দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন। বিষয়টি সামনে এনে সাবেক মেয়র ডিএসসিসির ওই দুই ম্যাজিস্ট্রেট ও দলীয় লোকজনের প্রভাবে কামরাঙ্গীচরের কাঁচা, আধাপাকা ও ছোট ছোট পাকা প্রায় ৩০০টি বাড়ি কোথাও আংশিকভাবে, কোথাও পূর্ণ বাড়ি দখল করে নেন।

ট্যাগস :

তাপসের ১০০ নামে কোটির সঞ্চয়পত্র, অনুসন্ধানে দুদক

আপডেট সময় : ১১:২০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের নামে ১০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোপন অনুসন্ধানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এবার কমিশনের বিশেষ একটি দল এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

সূত্র জানায়, দুদকের গোপন অনুসন্ধানে তাপসের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রকাশ্য অনুসন্ধানে তার নামে-বেনামে আরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেরিয়ে আসবে।

দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, সাবেক মেয়র তাপস গোপালগঞ্জে অস্তিত্বহীন মৎস্য খামার দেখিয়ে মুনাফা হিসেবে ৩৫ কোটি টাকা উল্লেখ করেছেন। পরে তিনি এ টাকার মধ্য থেকে ৩২ কোটি টাকায় মধুমিতা ব্যাংকের শেয়ার কেনেন। তিনি এ ব্যাংকের পরিচালক। আর ওই ১০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র কিনেছেন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।

দুদক জানায়, ঢাকার কামরাঙ্গীচর এলাকার প্রায় ৩০০টি বাড়ি কোথাও পূর্ণ, কোথাও আংশিকভাবে দখল করেছেন সাবেক মেয়র। এ ক্ষেত্রে ডিএসসিসি ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান ও মো. জাহাঙ্গীর তাকে সহায়তা করেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের সাবেক একজন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষার দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন। বিষয়টি সামনে এনে সাবেক মেয়র ডিএসসিসির ওই দুই ম্যাজিস্ট্রেট ও দলীয় লোকজনের প্রভাবে কামরাঙ্গীচরের কাঁচা, আধাপাকা ও ছোট ছোট পাকা প্রায় ৩০০টি বাড়ি কোথাও আংশিকভাবে, কোথাও পূর্ণ বাড়ি দখল করে নেন।