ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ত্রাণের টাকার হিসাব নি‌য়ে কথা ওঠে‌ছে

সৈয়দ তাও‌হিদুর রহমান
  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮৪৫ বার পঠিত

সম্প্রতি বন্যাদুর্গতদের জন্য তহবিল ও ত্রাণ সংগ্রহের জন্য একটি বিশাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে চলে “গণত্রাণ” নামে এই ত্রাণ সংগ্রহের কার্যক্রম। কিন্তু সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ভ্রমণ শুরু করলে ত্রাণের টাকার হিসাব নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।

এই সমালোচনার জবাবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে তিনি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, “গত ৪ সেপ্টেম্বরের প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আমাদের টিএসসির ত্রাণ কর্মসূচির আয় ও ব্যয়ের হিসাব জানানো হয়েছিল। ব্যয় বাদে বাকি টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক শাখা, ইসলামি ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সংরক্ষিত রয়েছে।”

গণত্রাণ: যেভাবে আশার আলো হয়ে উঠল টিএসসিগণত্রাণ: যেভাবে আশার আলো হয়ে উঠল টিএসসি
হাসনাত জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন নারী শিক্ষার্থী ও একজন ছাত্রের নামে বিশেষভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে শুধু এই তিনজনের সম্মিলিত সিগনেচারের মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর করা সম্ভব। এখন পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো টাকা হস্তান্তর করা হয়নি।

তিনি লেখেন, “স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আমরা ত্রাণ কার্যক্রমের আয় ও ব্যয়ের ওপর একটি অডিট করছি এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ।”

এই সমন্বয়ক আরও লেখেন, “আমরা সব সময় গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণে আগ্রহী। কোনও বিশেষ ভুল বোঝাবুঝি থাকলে অনুগ্রহ করে তা নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরুন, যাতে আমাদের কাজ আরও কার্যকরী হতে পারে। আগামীর বাংলাদেশ হোক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মডেল।”

ট্যাগস :

ত্রাণের টাকার হিসাব নি‌য়ে কথা ওঠে‌ছে

আপডেট সময় : ০৩:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি বন্যাদুর্গতদের জন্য তহবিল ও ত্রাণ সংগ্রহের জন্য একটি বিশাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে চলে “গণত্রাণ” নামে এই ত্রাণ সংগ্রহের কার্যক্রম। কিন্তু সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ভ্রমণ শুরু করলে ত্রাণের টাকার হিসাব নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।

এই সমালোচনার জবাবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে তিনি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, “গত ৪ সেপ্টেম্বরের প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আমাদের টিএসসির ত্রাণ কর্মসূচির আয় ও ব্যয়ের হিসাব জানানো হয়েছিল। ব্যয় বাদে বাকি টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক শাখা, ইসলামি ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সংরক্ষিত রয়েছে।”

গণত্রাণ: যেভাবে আশার আলো হয়ে উঠল টিএসসিগণত্রাণ: যেভাবে আশার আলো হয়ে উঠল টিএসসি
হাসনাত জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন নারী শিক্ষার্থী ও একজন ছাত্রের নামে বিশেষভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে শুধু এই তিনজনের সম্মিলিত সিগনেচারের মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর করা সম্ভব। এখন পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো টাকা হস্তান্তর করা হয়নি।

তিনি লেখেন, “স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আমরা ত্রাণ কার্যক্রমের আয় ও ব্যয়ের ওপর একটি অডিট করছি এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ।”

এই সমন্বয়ক আরও লেখেন, “আমরা সব সময় গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণে আগ্রহী। কোনও বিশেষ ভুল বোঝাবুঝি থাকলে অনুগ্রহ করে তা নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরুন, যাতে আমাদের কাজ আরও কার্যকরী হতে পারে। আগামীর বাংলাদেশ হোক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মডেল।”