দেশ উন্নয়নে গার্মেন্টস সেক্টর কি ভুমিকা
- আপডেট সময় : ০৮:১৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬৪ বার পঠিত
ইউরোপ আমেরিকা বিমান তৈরী করতে পারে, পারমানবিক বোমা তৈরী করতে পারে, তাহলে তারা গেঞ্জি, সার্ট প্যান্ট তৈরী করতে পারে না ? এটা আপনি মনে করেন? এই গেঞ্জি সার্ট প্যান্ট এর ফ্যাক্টরী যদি সারা বাংলাদেশের কোনায় কোনায়ও বানানো হয়,সারা বাংলাদেশও যদি গার্মেন্টসে ভরে যায়, তবুও এই মেক্টর দিয়ে উন্নতীর কিছুই নেই ।
বাংলাদেশে গার্মেন্টস সেক্টর বেশী চলে কেনো জানেন? সস্তায় লেবার পাওয়া যায় ,শ্রম মূল্য কম বিধায় এদেশে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী গড়ে ওঠেছে।
শিক্ষা কম জনসংখ্যা বেশী, তাই এদেশ উন্নতি হয় না,সস্তায় ও কম কস্টে জ্ঞাণ কম খাটিয়ে মাসে কিছু মাইনে পেয়ে সংসার চালানো যায় কোনো মতে ৫ম ৮ ম ১০ ম মেট্রিক আইএ পাস করতে পারলে ই চাকুরি খুজে, এতে কি চাকরি পাওয়ার আছে ? তাই বাধ্য হয়ে মা বাবার বোঝা কমাতে পাড়ি কমায় ঢাকায় তখন সহজ চাকরি গামেন্টসে । সাত পাচ না ভেবে সুতা কাটা থেকে সুপার ভাইজার পদে কাজ পাওয়া যায়। সেলাই মেশিনের চাকার মতনই ঘুরতে থাকে জীবন চাকা ।
ইউরোপ আমেরিকা আমাদের ব্রেন্ড ব্যবহার করায় গেঞ্জি প্যান্ট সার্ট বানাতে। আর ইউরোপ আমেরিকার মানুষের ব্রেন্ড ব্যবহার করায় ড্রোন, পারমানবিক বোমা, পারমানবিক বিদ্যুৎ, বিমান, জেট বিমান,ক্ষেপনাস্র তৈরীতে।
এটার নাম শিক্ষা এবং শিক্ষা অর্জন করে উন্নতি হওয়া।
শিক্ষিত কিছু পয়সাওলা লোকেরা বায়িং গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী তৈরী করে কম শিক্ষিত নারী পুরুষদের চাকুরি দিয়ে কম পয়সা বেতন ধরিয়ে দিয়ে তারা শিল্পপতি গাড়ী বাড়ির মালিক হয়ে গেছে । লেবার কোনো মতে কোয়ালিটিম্যান ,বা সুপার ভাইজার হন। শিক্ষিত মানে উন্নতী তাই জিএম ,এমডি তারা হয়।
সারা বাংলাদেশ গার্মেন্টসে ভরে গেলেও বাংলাদেশ কথনো উন্নতী হতে পারবে না।
গার্মেন্টস সেক্টর বন্ধ হচ্ছে বলে অনেকে মায়া কান্না করছেন? নিজের সন্তানকে মেধাবী বানান, শিক্ষা অর্জণ করার জ্ঞাণে বিজ্ঞাণে বড় করেন দেখবেন ভারতের লোকেরা যেমন গুগল টুইটারে জব পায়,আপনার সন্তানও গড়ে তুলুন তারাও সেখানে চান্স পাবে।
আমরা শিক্ষা অর্জণ করতে পারি নি বিধায় নিজেও বেকার,দেশটাকেও গরীব বানায়ে ফেলেছি ইউরোপ আমেরিকার নাগরিকদের প্যান্ট বানানোর জন্য।