ঢাকা ০৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিষেধাজ্ঞার মুখে নতি স্বীকার করবে না ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২২ বার পঠিত

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের একদিন পর মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রত্যাখানের বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

জ্বালানি ইস্যুতে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। একের পর নিষেধাজ্ঞা আরোপে পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি তেহরানের তেল রফতানির কার্যক্রম। সোমবার ইরানের জাতীয় তেল সংস্থার প্রধানসহ বিক্রয় ও পরিবহনের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তেহরানের ৩০টিরও বেশি জাহাজ ও কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন।

এরমধ্যেই মঙ্গলবার ইরান সফর করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এ সময় তেহরানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক ইস্যুতে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মাঝে সরাসরি আলোচনার কোনো সম্ভাবনা নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত চাপপ্রয়োগের মার্কিন নীতি বাতিল করা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো আলোচনা হবে না।

তিনি বলেন, পারমাণবিক আলোচনার বিষয়ে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা চাপ, হুমকি বা নিষেধাজ্ঞার আওতায় কোনো আলোচনা করব না।

এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন অর্থ বিভাগের অভিযোগ, ইরান তেল বিক্রি ও পরিবহনের জন্য একটি গোপন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।

তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের তেল রফতানি শূন্যে নামিয়ে আনতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টাই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে কাজ করছে।

ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির ২০১৫ সালে একটি পারমাণবিক চুক্তি হয়। এর তিন বছর পর ২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সে চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করেন। পাশাপাশি ইরানের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তোলা নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। এরপর থেকে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পারমাণবিক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা শুরু করে তেহরান।

ট্যাগস :

নিষেধাজ্ঞার মুখে নতি স্বীকার করবে না ইরান

আপডেট সময় : ১০:১৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের একদিন পর মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রত্যাখানের বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

জ্বালানি ইস্যুতে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। একের পর নিষেধাজ্ঞা আরোপে পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি তেহরানের তেল রফতানির কার্যক্রম। সোমবার ইরানের জাতীয় তেল সংস্থার প্রধানসহ বিক্রয় ও পরিবহনের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তেহরানের ৩০টিরও বেশি জাহাজ ও কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন।

এরমধ্যেই মঙ্গলবার ইরান সফর করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এ সময় তেহরানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক ইস্যুতে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মাঝে সরাসরি আলোচনার কোনো সম্ভাবনা নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত চাপপ্রয়োগের মার্কিন নীতি বাতিল করা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো আলোচনা হবে না।

তিনি বলেন, পারমাণবিক আলোচনার বিষয়ে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা চাপ, হুমকি বা নিষেধাজ্ঞার আওতায় কোনো আলোচনা করব না।

এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন অর্থ বিভাগের অভিযোগ, ইরান তেল বিক্রি ও পরিবহনের জন্য একটি গোপন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।

তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের তেল রফতানি শূন্যে নামিয়ে আনতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টাই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে কাজ করছে।

ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির ২০১৫ সালে একটি পারমাণবিক চুক্তি হয়। এর তিন বছর পর ২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সে চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করেন। পাশাপাশি ইরানের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তোলা নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। এরপর থেকে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পারমাণবিক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা শুরু করে তেহরান।