ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, শেরপুরে নিহত ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:২০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪ ২৮ বার পঠিত

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে রাস্তার ধারে খেলার সময় বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ এ নিয়ে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ জনে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায়, পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করেছে ময়মনসিংহ ও শেরপুরে। অন্যদিকে নেত্রকোণায় ঢলের কারণে পানি এখনো বাড়ছে। এতে দুর্ভোগ কমছে না বাসিন্দাদের।

ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী উপজেলায় ঢলের পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। উজানের পানি বিভিন্ন নদ-নদী হয়ে বইছে ভাটির দিকে।

জেলার ৫ উপজেলার দেড় লাখের বেশি মানুষ জলমগ্ন আছেন। বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন অনেকে। তবে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ৫২ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে নেত্রকোণায়। সোমেশ্বরী নদীর পানি কমলেও, উব্দাখালী নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপরে। বেড়েছে কংশ নদীর পানিও। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দুর্গাপুর, কলমাকান্দাসহ ৫ উপজেলার দেড়শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন। এতে নেত্রকোণায় পানিবন্দি হয়ে আছে লক্ষাধিক মানুষ। পানির তোড়ে ভেসে গেছে ফসলের মাঠ-মাছের ঘের।

ট্যাগস :

নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, শেরপুরে নিহত ৯

আপডেট সময় : ১০:২০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে রাস্তার ধারে খেলার সময় বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ এ নিয়ে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ জনে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায়, পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করেছে ময়মনসিংহ ও শেরপুরে। অন্যদিকে নেত্রকোণায় ঢলের কারণে পানি এখনো বাড়ছে। এতে দুর্ভোগ কমছে না বাসিন্দাদের।

ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী উপজেলায় ঢলের পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। উজানের পানি বিভিন্ন নদ-নদী হয়ে বইছে ভাটির দিকে।

জেলার ৫ উপজেলার দেড় লাখের বেশি মানুষ জলমগ্ন আছেন। বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন অনেকে। তবে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ৫২ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে নেত্রকোণায়। সোমেশ্বরী নদীর পানি কমলেও, উব্দাখালী নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপরে। বেড়েছে কংশ নদীর পানিও। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দুর্গাপুর, কলমাকান্দাসহ ৫ উপজেলার দেড়শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন। এতে নেত্রকোণায় পানিবন্দি হয়ে আছে লক্ষাধিক মানুষ। পানির তোড়ে ভেসে গেছে ফসলের মাঠ-মাছের ঘের।