ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডি‌বি পু‌লি‌শের তাৎক্ষ‌নিক তৎপরতায় হামলার প‌রিকল্পনা নস‌্যাৎ

এখনই সময় ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০১:০৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২০২ বার পঠিত

ব‌রিশাল মহানগর ডি‌বি পু‌লি‌শের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ হ‌য়ে গে‌ছে।

বরিশাল আদালত প্রাঙ্গণে ডাকাতি মামলার বাদীর ওপর হামলার আশঙ্কা ছিল—এমন গোপন সংবাদ পান বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মো. ছগির হোসেন। দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ডিবির একটি টিম নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন তিনি। তাদের সতর্ক অবস্থানের ফলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি, এবং বাদী নিরাপদে থাকেন।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ২৫ জানুয়ারি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল এলাকার মেসার্স আরিফ ফিলিং স্টেশনে সংঘবদ্ধ একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা লুট করে। এই ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় মামলা হলে, মামলার ২ নম্বর আসামি মানিক মাঝি ও ৩ নম্বর আসামি সিফাত মাঝি গ্রেপ্তার হন এবং বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। আজ ২ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১১টায় আসামিদের জামিনের আবেদন করা হয়।

বাদী সুমাইয়া পপি আশঙ্কা করেন, আসামিপক্ষ জামিনে মুক্ত হয়ে আবার হামলা চালাতে পারে। তাই তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে আসামিদের জামিন না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, আসামিপক্ষের ১৫-২০ জন সমর্থক বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল আদালতসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয় এবং আদালত থেকে বের হলে বাদীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করে।

এ বিষয়ে ডিবির ওসি মো. ছগির হোসেন বলেন, “গৌরনদী থানার মামলার বাদীকে আদালত প্রাঙ্গণ বা শহরের অন্য কোথাও হামলার শিকার হতে পারেন—এমন খবর পাওয়ার পরই আমরা দ্রুত আদালতে উপস্থিত হয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করি এবং বাদীকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিই।”

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার বাদী সুমাইয়া পপি জানান, “আসামিদের লোকজন আমাকে এজলাস থেকে বের হতে বলছিল এবং এমনকি পুলিশের ওপরও চাপ প্রয়োগ করছিল। আমার আইনজীবী পি.টি. আবুল কালাম আজাদ তখন পুলিশকে জানান যে, বাদী আমার লোক, সে এখানেই থাকবে, আমি সময়মতো তাকে নিয়ে যাবো।”

ডিবির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য ওসি মো. ছগির হোসেনকে ধন্যবাদ জানান বাদী পপি।

ডিবির তৎপরতায় আদালত প্রাঙ্গণে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি এবং মামলার বাদী নিরাপদ থাকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও ওসি মো. ছগির হোসেনের প্রশংসা করছেন বরিশালের জনগণ। ঘটনাটি এখন বরিশাল শহরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

ট্যাগস :

ডি‌বি পু‌লি‌শের তাৎক্ষ‌নিক তৎপরতায় হামলার প‌রিকল্পনা নস‌্যাৎ

আপডেট সময় : ০১:০৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ব‌রিশাল মহানগর ডি‌বি পু‌লি‌শের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ হ‌য়ে গে‌ছে।

বরিশাল আদালত প্রাঙ্গণে ডাকাতি মামলার বাদীর ওপর হামলার আশঙ্কা ছিল—এমন গোপন সংবাদ পান বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মো. ছগির হোসেন। দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ডিবির একটি টিম নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন তিনি। তাদের সতর্ক অবস্থানের ফলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি, এবং বাদী নিরাপদে থাকেন।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ২৫ জানুয়ারি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল এলাকার মেসার্স আরিফ ফিলিং স্টেশনে সংঘবদ্ধ একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা লুট করে। এই ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় মামলা হলে, মামলার ২ নম্বর আসামি মানিক মাঝি ও ৩ নম্বর আসামি সিফাত মাঝি গ্রেপ্তার হন এবং বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। আজ ২ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১১টায় আসামিদের জামিনের আবেদন করা হয়।

বাদী সুমাইয়া পপি আশঙ্কা করেন, আসামিপক্ষ জামিনে মুক্ত হয়ে আবার হামলা চালাতে পারে। তাই তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে আসামিদের জামিন না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, আসামিপক্ষের ১৫-২০ জন সমর্থক বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল আদালতসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয় এবং আদালত থেকে বের হলে বাদীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করে।

এ বিষয়ে ডিবির ওসি মো. ছগির হোসেন বলেন, “গৌরনদী থানার মামলার বাদীকে আদালত প্রাঙ্গণ বা শহরের অন্য কোথাও হামলার শিকার হতে পারেন—এমন খবর পাওয়ার পরই আমরা দ্রুত আদালতে উপস্থিত হয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করি এবং বাদীকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিই।”

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার বাদী সুমাইয়া পপি জানান, “আসামিদের লোকজন আমাকে এজলাস থেকে বের হতে বলছিল এবং এমনকি পুলিশের ওপরও চাপ প্রয়োগ করছিল। আমার আইনজীবী পি.টি. আবুল কালাম আজাদ তখন পুলিশকে জানান যে, বাদী আমার লোক, সে এখানেই থাকবে, আমি সময়মতো তাকে নিয়ে যাবো।”

ডিবির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য ওসি মো. ছগির হোসেনকে ধন্যবাদ জানান বাদী পপি।

ডিবির তৎপরতায় আদালত প্রাঙ্গণে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি এবং মামলার বাদী নিরাপদ থাকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও ওসি মো. ছগির হোসেনের প্রশংসা করছেন বরিশালের জনগণ। ঘটনাটি এখন বরিশাল শহরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।