ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে দুই ট্রাক সরকারি নথি জব্দ, জনমনে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৩ বার পঠিত

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুই ট্রাক সরকারি নথি আটক করেছে স্থানীয় জনতা। আগুনে পুড়িয়ে ফেলার জন্য এসব নথি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৭ টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরবারিয়া ইউনিয়নের কাগাসুরা বাজারে ওই ট্রাক দুটি আটক করে স্থানীয় জনতা। আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কাউনিয়া থানা পুলিশের দুইটি টিম। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাজার থেকে নথিগুলো নদীর পাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর দুই ট্রাক ভর্তি পুরাতন নথি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন সবার মনে সন্দেহ জাগে। এত কাগজ আগে কখনো নদীর ধারে নিতে দেখেনি কেউ। ট্রাক আটকের পর গাড়ির চালক জানান এগুলো সরকারি নথি। তখন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৯২ সালের পর থেকে জমা হওয়া বিভিন্ন কাগজপত্র অফিসে জমা হয়েছিল। রুম খালি করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে নথিগুলো পুড়িয়ে ফেলার জন্য ময়লার ভাগাড়ে পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু সেগুলো ভাগাড়ে না নিয়ে ভাড়াটে শ্রমিকরা বিক্রির জন্য অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছিল। পরে সেগুলো জনতা আটক করে এবং পুলিশের সহায়তায় আবারও ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুরাতন মালামাল নিলামে বিক্রির নিয়ম থাকলেও নথি নিলামে বিক্রির নিয়ম নেই। এগুলো পুড়িয়ে ফেলতে হয়।

কাউনিয়া থানার ওসি নুর আলম বলেন, সদর উপজেলার কাগাশুরা গ্রামে দুই ট্রাক ভর্তি কাগজপত্র আটক করেছে জনগণ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সবার  উপস্থিতিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা লিখিত দিয়ে তাদের কাগজপত্র বুঝে নিয়েছেন।

ট্যাগস :

বরিশালে দুই ট্রাক সরকারি নথি জব্দ, জনমনে প্রশ্ন

আপডেট সময় : ০৩:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুই ট্রাক সরকারি নথি আটক করেছে স্থানীয় জনতা। আগুনে পুড়িয়ে ফেলার জন্য এসব নথি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৭ টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরবারিয়া ইউনিয়নের কাগাসুরা বাজারে ওই ট্রাক দুটি আটক করে স্থানীয় জনতা। আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কাউনিয়া থানা পুলিশের দুইটি টিম। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাজার থেকে নথিগুলো নদীর পাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর দুই ট্রাক ভর্তি পুরাতন নথি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন সবার মনে সন্দেহ জাগে। এত কাগজ আগে কখনো নদীর ধারে নিতে দেখেনি কেউ। ট্রাক আটকের পর গাড়ির চালক জানান এগুলো সরকারি নথি। তখন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৯২ সালের পর থেকে জমা হওয়া বিভিন্ন কাগজপত্র অফিসে জমা হয়েছিল। রুম খালি করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে নথিগুলো পুড়িয়ে ফেলার জন্য ময়লার ভাগাড়ে পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু সেগুলো ভাগাড়ে না নিয়ে ভাড়াটে শ্রমিকরা বিক্রির জন্য অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছিল। পরে সেগুলো জনতা আটক করে এবং পুলিশের সহায়তায় আবারও ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুরাতন মালামাল নিলামে বিক্রির নিয়ম থাকলেও নথি নিলামে বিক্রির নিয়ম নেই। এগুলো পুড়িয়ে ফেলতে হয়।

কাউনিয়া থানার ওসি নুর আলম বলেন, সদর উপজেলার কাগাশুরা গ্রামে দুই ট্রাক ভর্তি কাগজপত্র আটক করেছে জনগণ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সবার  উপস্থিতিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা লিখিত দিয়ে তাদের কাগজপত্র বুঝে নিয়েছেন।