বরিশালে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্মে লিপ্ত এক হিন্দু নেতা ও তার ভাই

- আপডেট সময় : ১১:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ৬৮৫ বার পঠিত
৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে পট পরিবর্তনের পরে হিন্দু কর্ত্তৃক হিন্দুদের ওপড় হুমকি হামলা ও মন্দির দখল করার চেস্টা ও দখল করা হয়েছে পুজা উদজাপন কমিটি এবং মন্দিরের নামে পুজার অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সব অভিযোগ পাওয়া গেছে স্ব ঘোষিত “গৌরনদী উপজেলা পুজ উদজাপন কমিটি”র কথিত সভাপতি হিন্দু সমাজের নেতা দাবিদার বিএনপি নেতা পরিচয় দেয়া দুূলু রায়ের বিরুদ্ধে ।
জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলা পুজা উদজাপন কমিটির পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে নি জেলা কমিটি, কোনো প্রকার বিলুপ্ত করা ছাড়াই একক পাওয়ারে স্ব উদ্যোগে উপকেলা পুজা উদজাপন কমিটির কোনো মিটিং সভা না করেই স্ব ঘোষিত একটি কমিটি গঠন করেন দুলু রায়। পুজার পূর্বেই তার ঘোষিত কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘটনাও ঘটেছে।
হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের সুত্রে জানা গেছে, বরিশালের গৌরনদী উপজেলা বিএনপি নেতা পরিচয়ে দুলু রায় ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পরে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন দুলু রায় । এলাকায় এসেই তার রাম রাজত্ব কায়েম করার মিশনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন । বার্থী তারা মায়ের মন্দিরে গিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের নেমবোর্ডে দুলু রায়ের নাম কেনো নেই প্রশ্ন তোলেন এবং তার নাম নেমবোর্ডে লিখতে হুমকি ধামকি দেন।
টরকী বন্দরে হিন্দু ব্যবসায়ীদের গালাগাল হুমকি ধামকি দেন তার কথাই টরকীর হিন্দুদের কাছে শেষ কথা,আমি স্বপন ভাইর লোক, স্বপন( সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন) ভাইর কথার বাহিরে কোনো কিছু হবে না। অপড়দিকে দুলু রায়ের মেঝ ভাই (বিএনপির আরেক নেতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান সমর্থন) বিশ্ব রায় টরকীর কাসা পিতল ব্যবসায়ী রাজিব কংস বনিক নামে এক হিন্দু ব্যবসায়ীকে গালাগাল করেছেন এমন অভিযোগ বনিক সমিতির কাছে দিয়েছেন রাজিব । দুলু রায় ও তার ভাইয়ের ভয়ে অনেক হিন্দুরা মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না ।
গৌরনদী উপজেলা পুজা উদজাপন কমিটি রয়েছে বরিশাল জেলার অনুমতিত যার সভাপতি বাবু কালিয়া দমন গুহ,সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণ কান্ত দে। সেই কমিটি বিলুপ্ত না করে বা বরিশাল জেলা কমিটি থেকে অনুমতি না নিয়ে নিজ বলয়ের কিছু হিন্দুদের নিয়ে স্ব ঘোষিত পুজা উদাপন কমিটি গঠন করেন। এবং এবারের দুর্গা পুজায় ৮৫ টি পুজা মন্ডপের অনুকুলে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ নেন। এর মধ্যে আধুনার রানু ভট্টাচার্য্য মন্দির মেদাকুল ভাগ্য ভুইয়ার বাড়ির মন্দিরের নামেও ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ নিয়ে তা নিজেই আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ ওঠেছে এবং দুলু রায়ের বিভিন্ন অনৈতিকতার অভিযোগ পেয়ে তারই স্ব ঘোষিত কমিটি থেকে ১ নং যুগ্ন সম্পাদক প্রেমানন্দ ঘরামী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল হালদার ও সুজিত বাড়ৈ নামে তিনজন নেতা পদত্যাগ করেন ।
বিশ্বস্ত একটি সুত্র জানায়, বিগত ১৫ ১৬ বছর আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় নেতা দানবীর এড বলরাম পোদ্দারের থেকে বিভিন্ন মন্দিরের কথা বলে, তার মায়ের চিকিৎসার কথা বলে ও বিভিন্ন লোকদের সমস্যার কথা বলে অর্থ সাহায্য নিয়ে তা আত্মসাত করেছেন দুলু রায় ।
বার্থী তারা মায়ের মন্দিরের ট্রাস্টিবোর্ডের কার্যকরি সভাপতি অবসর প্রাপ্ত অতি: পুলিশ সুপার শান্তনু ঘোষ জানান, দুলু রায় রাজনীতি করে, সেটা তার বিষয় কিন্তু দেবালয় দখল করার কি রাজনীতি? দেবালয় তো কোনো দলের বা গোষ্ঠির বা কোনো ব্যক্তির নয় !
২০০৪ সালে বার্থী তারা মায়ের মন্দির কমিটির সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাত করেন। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমানীত হলে মন্দির কমিটি দুলু রায়কে বহিস্কার করেন। এরপর থেকে দুলু রায় বার্থী মন্দিরে যাতায়াত বন্ধ করে দেন । অরুন শীল নামক এক লোকের থেকে দোকান ভিডি ভাড়া দেয়ার নাম করে ১০ হাজার নেন, তার টাকাও ফেরৎ দেন নি, তাকে ভিডি দিতে পারেন নি ।
কমিটি গঠনের বিষয়ে গৌরনদী পুজা উদজাপন কমিটি সভাপতি বাবু কালিয়া দমন গুহ জানান, আমি বর্তমান সভাপতি আছি,শুনেছি কমিটি করেছে, এবং বিভিন্ন মন্দিরের নামে অনুদান নিয়ে আত্মসাতও করেছে ।
স্ব ঘোষিত পুজা উদজাপন কথিত কমিটির কথিত সভাপতি কে বা কারা ? তা আমার জানা নেই ,করে থাকলে সেটা অবৈধ কমিটি বলেই বিবেচিত।
মন্দিরের নামে অনুদান চাল আত্মসাতের বিষয়ে গৌরনদী পিআইও কর্মকর্তা সালাউদ্দিন কোনো কথা বলতে রাজি হননি
এসব অভিযোগের বিষয়ে দুলু রায়কে তার মুঠো ফোনে কল করা হলে তিনি জানান,আমি রাস্ট্রপতির সাথে স্বাক্ষাতে যাইতেছি, পরে এসে কথা বলবো এসব অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেন ।
বিএনপি নেতা দুলু রায়ের অপকর্মের বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধ আলহাজ্ব সৈয়দ সরোয়ার আলম র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুলু রায় বিএনপির ভাইটাল কোনো পোস্টের নেতা না, উপজেলা বিএনপির সদস্য মাত্র, এর জন্য দুলু রায়ের কোনো অন্যায় অপরাধের সমর্থন করবে এমন না, দুলু রায় কেনো আমিও যদি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোনো কিছু করি দল তার দায়ভার নেবে না, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কিছু করলে তাকে দল বহিস্কার করার বিন্দু পরিমান কার্পন্য করবে না ।সুতরাং কেউ দলের উর্দ্ধে নয় ।