‘বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’

- আপডেট সময় : ০৮:০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ১৭৫ বার পঠিত
বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রিমিয়ার লি ছিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় বাংলাদেশ-চীনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক, বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের সহায়তা, বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা প্রভৃতি বিষয়ে আমরা আলোচনা করি।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় গণভবনে চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ৯ জুলাই বিকেলে আমি চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করি। আমরা এ বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করি। দলীয় নেতাদের পারস্পরিক সফরের বিষয়েও আমরা একমত হই। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমি চীনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করি।
এদিন বিকেলে আমি চীনের ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। ১০ জুলাই সকালে বেইজিংয়ে গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রিমিয়ার লি ছিয়াংয়ের সঙ্গে আমার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।’
সরকারপ্রধান বলেন, গ্রেট হলে পৌঁছালে লি ছিয়াং আমাকে স্বাগত জানান এবং দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। চীনের সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার এবং তোপধ্বনির মাধ্যমে আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। প্রিমিয়ার লি ছিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় বাংলাদেশ-চীনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক, বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের সহায়তা, বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা প্রভৃতি বিষয় আমরা আলোচনা করি।
তিনি বলেন, আমার এবং প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াংয়ের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিভিন্ন খাতে মোট ২১টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে– ডিজিটাল ইকোনমি সংক্রান্ত বিনিয়োগ সহযোগিতা, ব্যাংকিং এবং ইন্স্যুরেন্স রেগুলেশন, বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা, ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট পলিসি, বাংলাদেশ-চায়না ষষ্ঠ ও নবম ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ, অবকাঠামোগত সহযোগিতা, গ্রিন অ্যান্ড লো কার্বন ডেভেলপমেন্ট, ব্রহ্মপুত্র নদের হাইড্রোলজিক্যাল ইনফরমেশন প্রদান সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক নবায়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক নবায়ন, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ফর সাসটেইনেবল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
শেখ হাসিনা বলেন, এ সফরের ফলাফল হিসেবে ইতোমধ্যে সম্পাদিত সাতটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ঘোষণা করা হয়। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই, চীন-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ, ডিজিটাল সংযোগের আধুনিকায়ন, ডাবল পাইপ লাইনযুক্ত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রজেক্টের পরীক্ষামূলক চালুকরণ, রাজশাহী ওয়াসার সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট, চীনের শ্যানডং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার বিকাশে লুবান ওয়ার্কশপ নির্মাণ অন্যতম।