ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিরোধীদের বিক্ষোভ ও সহিংস আন্দোলন, যে হুঁশিয়ারি দিলেন এরদোগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ ১২৪ বার পঠিত

ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানো ঘিরে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তা ‘সহিংস আন্দোলনে’ রূপ নিয়েছে। আন্দোলনে পুলিশ কর্মকর্তাদের আহত হওয়া এবং সম্পত্তির ক্ষতির দায় প্রধান বিরোধীদলকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। 

সোমবার (২৪ মার্চ) আঙ্কারায় দেশটির মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

এরদোগান বলেন, ইস্তাম্বুলে দুর্নীতি অভিযোগে প্রধান বিরোধী নেতা গ্রেফতারের পর জনগণকে রাস্তায় নামার আহ্বানের পর জাতি হিসেবে আমরা অবাক হয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের (আহত) পুলিশ অফিসার আহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি সম্পত্তির জন্য প্রধান বিরোধী দল দায়ী। রাজনৈতিকভাবে এবং বিচার বিভাগ কর্তৃক আইনত তাদের এই সবকিছুর জন্য দায়ী করা হবে।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বুধবার গ্রেফতার করা হয় দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইমামোগলুকে। তার গ্রেফতারে এক দশকেরও বেশি সময় পর তুরস্কে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার দেশটির একটি আদালত ইমামোগলুর বিচার মুলতবি ঘোষণার পর দুর্নীতির অভিযোগে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও দেশটির বিরোধীদলীয় এই নেতা তার বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সড়কে জনসমাগমের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তুরস্কের বেশিরভাগ শহরে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। ইমামোগলুর মুক্তির দাবিতে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

রোববার রাতেও টানা পঞ্চম দিনের মতো দেশটির বেশিরভাগ শহরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া বলেছেন, বিক্ষোভ চলাকালীন অন্তত ১২৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। সরকার ‘রাস্তায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বরদাশত করবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে গত পাঁচদিনে এক হাজার ১৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ।

ইমামোগলু নেতৃত্বাধীন তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) মেয়রের গ্রেফতারের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছে। সিএইচপির এই নেতার গ্রেফতারকে ‘রাজনীতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অগণতান্ত্রিক’ বলে আখ্যা দিয়েছে দলটি।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এরদোগান বলেছেন, নাগরিকদের উসকানি দেওয়া বন্ধ করা উচিত সিএইচপির। তাদের এই প্রদর্শনী শেষ পর্যন্ত বন্ধ হবে এবং তারা দেশে যে ক্ষতিকর কাজ করেছে, সে জন্য তারা লজ্জা বোধ করবে।

ট্যাগস :

বিরোধীদের বিক্ষোভ ও সহিংস আন্দোলন, যে হুঁশিয়ারি দিলেন এরদোগান

আপডেট সময় : ১০:০০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানো ঘিরে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তা ‘সহিংস আন্দোলনে’ রূপ নিয়েছে। আন্দোলনে পুলিশ কর্মকর্তাদের আহত হওয়া এবং সম্পত্তির ক্ষতির দায় প্রধান বিরোধীদলকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। 

সোমবার (২৪ মার্চ) আঙ্কারায় দেশটির মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

এরদোগান বলেন, ইস্তাম্বুলে দুর্নীতি অভিযোগে প্রধান বিরোধী নেতা গ্রেফতারের পর জনগণকে রাস্তায় নামার আহ্বানের পর জাতি হিসেবে আমরা অবাক হয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের (আহত) পুলিশ অফিসার আহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি সম্পত্তির জন্য প্রধান বিরোধী দল দায়ী। রাজনৈতিকভাবে এবং বিচার বিভাগ কর্তৃক আইনত তাদের এই সবকিছুর জন্য দায়ী করা হবে।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বুধবার গ্রেফতার করা হয় দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইমামোগলুকে। তার গ্রেফতারে এক দশকেরও বেশি সময় পর তুরস্কে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার দেশটির একটি আদালত ইমামোগলুর বিচার মুলতবি ঘোষণার পর দুর্নীতির অভিযোগে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও দেশটির বিরোধীদলীয় এই নেতা তার বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সড়কে জনসমাগমের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তুরস্কের বেশিরভাগ শহরে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। ইমামোগলুর মুক্তির দাবিতে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

রোববার রাতেও টানা পঞ্চম দিনের মতো দেশটির বেশিরভাগ শহরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া বলেছেন, বিক্ষোভ চলাকালীন অন্তত ১২৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। সরকার ‘রাস্তায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বরদাশত করবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে গত পাঁচদিনে এক হাজার ১৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ।

ইমামোগলু নেতৃত্বাধীন তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) মেয়রের গ্রেফতারের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছে। সিএইচপির এই নেতার গ্রেফতারকে ‘রাজনীতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অগণতান্ত্রিক’ বলে আখ্যা দিয়েছে দলটি।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এরদোগান বলেছেন, নাগরিকদের উসকানি দেওয়া বন্ধ করা উচিত সিএইচপির। তাদের এই প্রদর্শনী শেষ পর্যন্ত বন্ধ হবে এবং তারা দেশে যে ক্ষতিকর কাজ করেছে, সে জন্য তারা লজ্জা বোধ করবে।