ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ব্যর্থতার সুযোগ নেই,আমা‌দের কা‌ছে জনগণের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী” — আশিকুর রহমান চৌধুরী

এখনই সময় ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ ৪৩ বার পঠিত

“আমরা জনগণের সরকার। যেমন ক্রিকেট খেলায় খেলোয়াড়দের প্রতি দর্শকদের থাকে তীব্র প্রত্যাশা, তেমনি আমাদের প্রতিও দেশের মানুষের অনেক আশা। ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
— এমনই বলছিলেন সদ্য প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান চৌধুরী।

সিঙ্গাপুরের আয়েশি জীবন, লন্ডনে আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ফিনান্সিয়াল ও স্ট্র্যাটেজিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংকিংয়ে অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টরের মর্যাদা—সব ফেলে তিনি ফিরে এসেছেন মাতৃভূমির ডাকে।
বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের একটি হোয়াটসঅ্যাপ কলই ছিল সেই টার্নিং পয়েন্ট—ভঙ্গুর দেশের হাল ধরার এক যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

ড. ইউনুস তাঁকে বিডা ও বেজা—দুই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দেন। দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন নাসার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক আলোচনা ও চুক্তি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিতে উপস্থাপন করেন ১০০ বিলিয়ন ডলারের এক প্রকল্প, যা বদলে দিতে পারে তিন কোটি মানুষের জীবন, তৈরি হবে এক লাখ নতুন কর্মসংস্থান।

আশিক চৌধুরীকে নিয়োগ দেয়া হয় ড. ইউনুসের ব্যক্তিগত চয়েজে। নভেম্বরের ৬ তারিখ এক পোস্টে আশিক চৌধুরী বলেছিলেন- “দিনে প্রায় ১৮ ঘন্টা তিনি কাজ করতেছেন। ব্যবসায়ী, সিইও-সবার সাথে কথা বলতেছেন, সবকিছু বুঝার চেষ্টা করতেছেন- নতুন ইনভেস্টমেন্ট আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেছেন…..” মন থেকে চাইলে কোনকিছুই অসম্ভব নয়। মাত্র ৫ মাসের মাথায় প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ইনভেস্টমেন্ট তিনি বাংলাদেশের জন্য গেইন করেছেন!!!…

শুধু তাই নয়- বঙ্গোসাগরীয় অঞ্চলে কিভাবে বিজনেস ডেভেলপ করা যায়, ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানো যায় তার একটা দূর্দান্ত প্রেজেন্টেশন এবং রূপরেখা তিনি উপস্থাপন করেছে।
নেক্সট বছর গুলাতে এটা ফলো করলে দারুণ কিছু করা সম্ভব।

আশিক চৌধুরী শুরু একজন সফল বিজনেস গ্রেজুয়েট নন, তিনি একজন প্রফেশনাল স্কাইডাইভার। দেশের পতাকা বুকে নিয়ে ৪১,০০০ ফুট উপর থেকে জাম্প দিয়ে যিনি গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছিলেন, তার পক্ষে দেশের জন্য যেকোনো কিছুই করা সম্ভব!

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই আশিক চৌধুরীদের কাজে লাগাবে কে? ড. ইউনুস আশিক চৌধুরীকে চিনেছিলেন। বাকিরাও কি চিনবে ? নাকি হ্যালির ধুমকেতুর মত আবির্ভাব হওয়া আশিক চৌধুরীরা ধুমকেতুর মতই হারিয়ে যাবেন?!

ট্যাগস :

ব্যর্থতার সুযোগ নেই,আমা‌দের কা‌ছে জনগণের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী” — আশিকুর রহমান চৌধুরী

আপডেট সময় : ১১:৫৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

“আমরা জনগণের সরকার। যেমন ক্রিকেট খেলায় খেলোয়াড়দের প্রতি দর্শকদের থাকে তীব্র প্রত্যাশা, তেমনি আমাদের প্রতিও দেশের মানুষের অনেক আশা। ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
— এমনই বলছিলেন সদ্য প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান চৌধুরী।

সিঙ্গাপুরের আয়েশি জীবন, লন্ডনে আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ফিনান্সিয়াল ও স্ট্র্যাটেজিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংকিংয়ে অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টরের মর্যাদা—সব ফেলে তিনি ফিরে এসেছেন মাতৃভূমির ডাকে।
বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের একটি হোয়াটসঅ্যাপ কলই ছিল সেই টার্নিং পয়েন্ট—ভঙ্গুর দেশের হাল ধরার এক যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

ড. ইউনুস তাঁকে বিডা ও বেজা—দুই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দেন। দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন নাসার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক আলোচনা ও চুক্তি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিতে উপস্থাপন করেন ১০০ বিলিয়ন ডলারের এক প্রকল্প, যা বদলে দিতে পারে তিন কোটি মানুষের জীবন, তৈরি হবে এক লাখ নতুন কর্মসংস্থান।

আশিক চৌধুরীকে নিয়োগ দেয়া হয় ড. ইউনুসের ব্যক্তিগত চয়েজে। নভেম্বরের ৬ তারিখ এক পোস্টে আশিক চৌধুরী বলেছিলেন- “দিনে প্রায় ১৮ ঘন্টা তিনি কাজ করতেছেন। ব্যবসায়ী, সিইও-সবার সাথে কথা বলতেছেন, সবকিছু বুঝার চেষ্টা করতেছেন- নতুন ইনভেস্টমেন্ট আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেছেন…..” মন থেকে চাইলে কোনকিছুই অসম্ভব নয়। মাত্র ৫ মাসের মাথায় প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ইনভেস্টমেন্ট তিনি বাংলাদেশের জন্য গেইন করেছেন!!!…

শুধু তাই নয়- বঙ্গোসাগরীয় অঞ্চলে কিভাবে বিজনেস ডেভেলপ করা যায়, ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানো যায় তার একটা দূর্দান্ত প্রেজেন্টেশন এবং রূপরেখা তিনি উপস্থাপন করেছে।
নেক্সট বছর গুলাতে এটা ফলো করলে দারুণ কিছু করা সম্ভব।

আশিক চৌধুরী শুরু একজন সফল বিজনেস গ্রেজুয়েট নন, তিনি একজন প্রফেশনাল স্কাইডাইভার। দেশের পতাকা বুকে নিয়ে ৪১,০০০ ফুট উপর থেকে জাম্প দিয়ে যিনি গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছিলেন, তার পক্ষে দেশের জন্য যেকোনো কিছুই করা সম্ভব!

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই আশিক চৌধুরীদের কাজে লাগাবে কে? ড. ইউনুস আশিক চৌধুরীকে চিনেছিলেন। বাকিরাও কি চিনবে ? নাকি হ্যালির ধুমকেতুর মত আবির্ভাব হওয়া আশিক চৌধুরীরা ধুমকেতুর মতই হারিয়ে যাবেন?!