ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ময়মনসিংহে দুই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১১ কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গুলিসহ গ্রেপ্তার, মদ উদ্ধার ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনিত করলো পাকিস্তান বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে নতুনবাজারে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের ব্লকেড, যান চলাচল বন্ধ ‘এক কলেই থামবে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ’ বিএনপির কাছে নিজ দলের কর্মীরাও নিরাপদ নন: মুফতি ফজলুল করীম পল্টনে ডিবির অভিযানে মাদক কারবারিদের গুলি, দুই পুলিশ সদস্য আহত প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড জেলেদের লক্ষ্য করে গুলির অভিযোগ কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে, নিখোঁজ ২ আগামী পাঁচ দিন বজ্রবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা

ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪ ৫৪ বার পঠিত

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাবিজ্ঞানী ও গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান (৮৪) মারা গেছেন। 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। ড. মনিরুজ্জামান মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেশি-পেশার ব্যক্তিরা।

মনিরুজ্জামানের মৃত্যুর সংবাদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার ভাতিজা আপেল মাহমুদ শিকদার।

তিনি বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে সোমবার ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের (সিসিইউতে) মনিরুজ্জামানকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে তিনি মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। রাতে ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে বাদ এশা তার প্রথম নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকাল ১১টায় তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

ড. মনিরুজ্জামান ভারতের চব্বিশ পরগনার স্কুল ডায়মন্ড হারবারে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পৈতৃক নিবাস আদিয়াবাদ এসে গ্রামের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সালে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেন। পরে ভারতের মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি করেন।

কর্মজীবনে মনিরুজ্জামান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন।

এছাড়াও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ও কলা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভাষা, সাহিত্য ও ফোকলোর বিষয়ে তার ৩৫টি গ্রন্থ ও শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ভাষা ও সাহিত্যেতে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০২৩ সালে একুশে পদক পান ড. মনিরুজ্জামান।

ট্যাগস :

ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান মারা গেছেন

আপডেট সময় : ১১:১৯:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাবিজ্ঞানী ও গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান (৮৪) মারা গেছেন। 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। ড. মনিরুজ্জামান মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেশি-পেশার ব্যক্তিরা।

মনিরুজ্জামানের মৃত্যুর সংবাদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার ভাতিজা আপেল মাহমুদ শিকদার।

তিনি বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে সোমবার ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের (সিসিইউতে) মনিরুজ্জামানকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে তিনি মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। রাতে ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে বাদ এশা তার প্রথম নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকাল ১১টায় তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

ড. মনিরুজ্জামান ভারতের চব্বিশ পরগনার স্কুল ডায়মন্ড হারবারে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পৈতৃক নিবাস আদিয়াবাদ এসে গ্রামের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সালে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেন। পরে ভারতের মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি করেন।

কর্মজীবনে মনিরুজ্জামান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন।

এছাড়াও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ও কলা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভাষা, সাহিত্য ও ফোকলোর বিষয়ে তার ৩৫টি গ্রন্থ ও শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ভাষা ও সাহিত্যেতে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০২৩ সালে একুশে পদক পান ড. মনিরুজ্জামান।