মাদারীপুরে পুলিশের মদদে কাওয়ালী অনুষ্ঠানে হামলা, কাওয়ালী পন্ড
- আপডেট সময় : ০৯:১৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮৪ বার পঠিত
মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র–জনতার আয়োজনে কাওয়ালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন। রোববার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর পুরো আসরটি পণ্ড হয়ে যায়। অভিযোগ পুলিশের মদদে হয়েছে এমন হামলা !
আহতদের ৩ জনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
আহতরা হলো— মাদারীপুর সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিয়ামত উল্লাহ (২২), হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর তামিম আশিক (২৩), দ্বাদশ শ্রেণির ইসতিয়ার আহম্মেদ (২০) ও শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা সাথী (২১)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মাদারীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশ সর্বস্তরের ছাত্র–জনতার ব্যানারে কাওয়ালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে জুবায়ের আহম্মেদ নাফির নেতৃত্বে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে নিয়ামত উল্লাহ নামে এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা শাবাব, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএইচএম সালাউদ্দিন এবং সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইপক্ষের সমবোঝায় অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে আবারও শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এতে আহত হয় আরও তিন শিক্ষার্থী।
হামলার পর পুরো অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে স্বজন ও আহত শিক্ষার্থীরা।
আহত গ্রুপের শিক্ষার্থী মিথিলা ফারজানা বলেন, ‘সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে কাওয়ালি সংগীত হওয়ায় আমরা মাদারীপুরে ছাত্র–জনতার উদ্যোগে কাওয়ালি গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। সেখানে অতর্কিতভাবে একটি গ্রুপ হামলা চালিয়ে আমাদের ভাইদের আহত করে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’
আর জোবায়ের হোসেন নাফির গ্রুপের শিক্ষার্থী দিহান বলেন, ‘যারা কাওয়ালি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে তারা ভুয়া। এখনো যেখানে আমাদের ভাইদের রক্তের দাগ শুকায়নি, সেখানে তারা নাচ–গানের আসর বসিয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় দুপক্ষকে বুঝিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করে পুলিশ। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হলেও দ্বিতীয় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় কয়েকজন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’