মাদারীপুর ডাসার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্কুল পর্যায়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন এর শুভ উদ্বোধন

- আপডেট সময় : ০৪:১৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫ ৪২ বার পঠিত
ডাসার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্কুল পর্যায়ে চারটি বালিকা বিদ্যালয়ে পিরিয়ডকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতার সৃষ্টির লক্ষ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং-মেশিন এর উদ্বোধন করা হয়।
“লজ্জা নাই জানতে হবে”এই স্লোগানকে সামনে রেখে
রবিবার (১) পহেলা জুন) সকাল ১১ টার বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নুরুল আলম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কিশোরীদের পিরিয়ড কালীন সময়ে ইস্কুল ত্যাগের প্রবণতা থেকে দূরে রাখতে ও স্বাস্থ্য সচেতনতার সৃষ্টির লক্ষ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফ-উল-আরেফিন।
বিদ্যালয়ে কিশোরীদের বয়স সন্ধিকালের স্বাস্থ্য একটি গ্রুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পিরিয়ডকালীন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু জড়তা, লজ্জা ও অসচেতনতা কিশোরীদের একটা প্রধান সমস্যা । এর ফলে অনেক সময় কিশোরীরা বিদ্যালয়ের ক্লাসে অস্বস্তি বোধ করেন, তাই কিশোরীদের শারীরিক মানসিক অসুস্থতার উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়ে একটি রুমে বিশ্রামাগার প্রস্তুত করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ-উল-আরেফিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,কালকিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম, কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শিবলী রহমান।
এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ছিলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নুরুল আলম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইকবাল হোসেন, সঞ্চালনায় ছিলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবু রঞ্জন বাড়ৈ,
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, শশিকর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু সুনীথ কুমার তালুকদার, দর্শনা এ,কে,ডি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বাবু দুলাল চন্দ্র নাগ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,ডাসার উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ হেমায়েত হোসেন খান, কালকিনি উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন লিটন, সৈয়দ গোলাম মারুফ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফ-উল-আরেফিন বলেন,প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ৪ টি বিদ্যালয়ে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বিতরণ করেছি। পর্যায়ক্রমে উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে কিশোরীদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনে স্থাপন করা হবে,
তিনি আরো বলেন,এতে কিশোরীদের দোকানে যেতে হবে না,১০ টাকা দিলেই এমনিতেই বের হবে একটি প্যাড। তবে এটা পুরো প্রক্রিয়ায় সামান্য অংশ। মেশিনটি কতটা সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা নির্ভর করবে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর।