মৃত্যুটির পেছনে হাজারো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে!!

- আপডেট সময় : ১০:৩৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ ৮৮৯ বার পঠিত
গেল রবিবার গভীর রাতে এক দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যুর নিয়ে জনমনে হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। রাত ১টার পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের টরকী সাউদেরখাল এলাকায় একটি মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হন। আহত হন আরো দুইজন—একজন নারী এবং একজন পুরুষ। আশ্চর্যের বিষয়, দুর্ঘটনার সংবাদ প্রচারে আহতদের পরিচয়ও উঠে আসেনি। অপড়দিকে নিহতের পরিবার দাবি করছেন,দখিনের মাদক সম্রাট হিরা মাঝি কৌশলে সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে তাদের সন্তান অনিম সরদারকে মেরে ফেলেছে !! কিন্তু কি কারনে ? তা প্রকাশ করছে না !! নিহতের পরিবার এ বিষয়ে হত্যা মামলা করারও প্রস্তুতী নিবেন বলে জানা গেছে । অন্যদিকে হিরা মাঝির পক্ষে কথা চাউর হয়েছে মৃত্যুকে পুজি করে নিহতের পরিবার মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়র পায়তারা করছে ! তবে থানা পুলিশের মুখে কুলুপ !!
বিশ্বস্ত গোপন সূত্রে জানা যায়, নিহত কিশোরের নাম অনিম সরদার (১৭)। সে সাউদেরখাল এলাকার স্বপন সরদারের ছেলে। দুর্ঘটনার সময় মোটরসাইকেলে তার সাথে ছিলেন নারী আখি বেগম, এবং কসবার শাওন দেওয়ান ওরফে ফেন্সি শাওন নামে তিনজন। দূর্ঘটনায় তিনজনের অবস্থাই ছিল আশঙ্কাজনক। আহত নারীর পরিচয় জানিয়ে সূত্রটি জানায়,আহত নারী হচ্ছেন কুখ্যাত মাদক সম্রাট হিরা মাঝির দ্বিতীয় স্ত্রী আখি বেগম । আহত অন্যজন ফেন্সি শাওন, যিনি মাদকের সঙ্গে পরিচিত একটি নাম। তার পিতার নাম শহিদ দেওয়ান ।
অনেক প্রশ্নের জন্ম
এই দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছে:
১৭ বছরের অনিম সরদার এত রাতে কোথা থেকে ফিরছিল? বা কোথায় যাচ্ছিল ? সে কি ছাত্র ছিল?
ছাত্র হলে এত রাতে বাইক চালিয়ে বেরোনোর অনুমতি দিল কে? দূর্ঘটনার শিকর বাইকটি এখন কোথায় ? বাইকটি তো হাইওয়ে থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকার কথা ! বাইকটি কার? কেন বাইকে তিনজন ছিল? নিহতের পিতা স্বপন সরদারের সন্তানের ওপর দায়িত্ববোধ কি ছিল ?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে ভয়ঙ্কর এক তথ্য।
মাদকের ভয়াল চক্র
স্থানীয় সূত্র এবং পুলিশের গোপন তথ্য মতে, নিহত অনিম সরদার ইয়াবা সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল। শুধু সে-ই নয়, তার বড় কাকা টুলু সরদার, মেঝ কাকা চুন্নু সরদার এবং পিতা স্বপন সরদারও মাদকের সঙ্গে জড়িত বলে এলাকাবাসী জানায় । পরিবারের মাদক সংশ্লিষ্টতার কারণেই অনিম পড়াশোনা ছেড়ে মাদকের জগতে ঢুকে পড়ে এবং হিরা মাঝির মাদকের চালানের আনা নেয়া করতো বলে সুত্র জানায় !
ওই রাতেই অনিম সরদার মাদারীপুরের কালকিনি এলাকা থেকে একটি বড় ইয়াবার চালান নিয়ে গৌরনদীর নিলখোলা এলাকায় হিরা মাঝির ভাড়াটিয়া বাসায় ফিরছিল তারা তিনজন। তার সঙ্গে ইয়াবা বহন করছিলেন আখি বেগম, যিনি নিজেই স্বামী হিরা মাঝির হয়ে ইয়াবার চালান সরবরাহ করেন। একই সঙ্গে ছিলেন টরকীর পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী ফেন্সি শাওন।
চালান লোপাটের রহস্য
দুর্ঘটনার সময় আখি বেগম গুরতর আহত হয়ে রাস্তার পাশে ডোবায় পড়ে যান। তবে ঘটনার পরপরই মাদক সম্রাট হিরা মাঝি চালান লোপাটের খবরে অস্থির হয়ে ওঠেন। কোটি টাকার ইয়াবার সেই চালান কোথায় গেল—তা এখনো রহস্য।
দ্রুত চিকিৎসা ও লুকানোর চেষ্টা
সুত্র জানায়, গুরতর আহত আখি বেগম ও শাওনকে ঢাকায় গোপনে কোনো বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে, যাতে পুলিশী ঝামেলা এড়ানো যায় ! এবিষয়ে পুলিশও নিরব ভুমিকা পালন করতেছে, কিছু একটা লুকোচুড়ি খেলার মতন চলছে পুরো ঘটনাটির বিষয়ে যাতে কোনো তথ্যই সাংবাদিকরা বা পাবলিক না পায় ?
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে চাপা ক্ষোভে রেয়েছে !
নিহতের মেঝ কাকা চুন্নু সরদার বক্তব্য দেন (যা রেকর্ড রয়েছে) তার ভাতিজাকে বাইকের মাঝখানে বসিয়ে ওরা বাইক চালায়, কোনো গাড়ি ধক্কা দেয়নি ,সেরকম কোনো সিমটমও নেই, সড়কের পাশে ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অনিমকে !
চুন্নু সরদার আরও জানান আমরা শোক কাটিয়ে উঠে আইনি প্রকৃয়া চালাবেন । তবে অপেক্ষা করছেন কিছু একটার !
অভিযুক্ত হিরা মাঝির অনেকগুলো নাম্বার রয়েছে , দুটিতে ফোন করলে সে মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায় । বিধায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি ।
এসব বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানা অফিসার ইন চার্জ (ওসি)মো:ইউনুস মিয়ার বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠো ফোনে ফোন দিলে কলটি কেটে দেন,এরপরে তার হোয়াডসএপে ম্যাসেজ করা হলেও তা রেসপন্স করেন নি !