নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দখলকৃত খাল উদ্ধারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার করার সময়ে, হামলা ও ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে তিনমাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এই ঘটনায় আরো সাতজনকে বিভিন্ন জনের জিম্মায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের আরজিকালিকাপুর স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত ফাতিমা জানান স্থানীয় প্রভাবশালী আবদুল হালিম চাঁদপাশা ইউনিয়নের তার নিজবাড়ি সংলগ্ন আরজি কালিকাপুরে একটি শতবর্ষিয় খাল ভরাট করে সেখানে একটি স্থাপনা নির্মান করেন। এই ঘটনায় স্থানীয় জনগনের আবেদনে সাড়া দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলে তদন্তেও এই খাল ভরাটের সত্যতা মেলে। এই ঘটনায় কয়েকবার ঐ ব্যাক্তিকে খাল দখল মুক্ত করে পানি প্রবাহ অবমুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হলেও তা ভ্রুক্ষেপ করেননি তিনি। আজ দুপুরে এই খাল উদ্ধার ও আমার নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময়ে বাধা দেয় আবদুল হালিমের দুই ছেলে ও তাদের সঙ্গীয়রা। এই সময়ে তাদের সঙ্গীরা মোবাইল কোর্টের সদস্যদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ও ককটেল বিস্ফোরন ঘটনায়। এমনকি তারা আমার উপরও হামলার চেষ্টা চালায়। এই সময়ে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে অন্তত নয় জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে মোবাইল কোর্টে আবদুল হালিম এই দুই পুত্র নাইম হাসান ও সাইফুল হাসান কে তিনমাস সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া আটক আরো সাত জনের বয়স কম থাকায় ও স্কুলের শিক্ষাথী হওয়ায় তাদের কে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অভিভাবকদের জিম্মায় দেয়া হয়।’ সরকারী কাজে বাধা, হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ১৮৬ ধারায় এই সাজা দেয়া হয়েছে’ বলে জানান ইউএনও। স্থানীয় চাঁদপাশা ইউপির চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই প্রবাহমান খালের উপর স্থাপনা নির্মাণ না করতে বারবার নিষেধ করা সত্তেও অভিযুক্তরা চালিয়ে যায়। এর ফলে এই এলাকার কয়েক শত একর ধানের চাষ ব্যাহত হয়। এয়ারপোর্ট থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, হামলার ঘটনা আমরা শুনেছি। ইউএনও নির্দেশ দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হবে।