ঢাকা ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ও গুতেরেসের দিনটি যেভাবে গেল আবরার ফাহাদ হত্যা : হাইকোর্টের রায় রোববার ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ৩ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের দায়িত্বে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর ট্রাম্পের অনুরোধের পর ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান পুতিনের মার্কিন জিম্মিকে মুক্তির প্রস্তাব হামাসের, প্রত্যাখান ইসরাইলের টানা দুই দিন ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস কাশ্মীরের দুটি সংগঠনকে বেআইনি ঘোষণা, ভারতকে তীব্র নিন্দা পাকিস্তানের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বড় হচ্ছে ডিজিটাল অর্থনীতি, ব্যয় বাড়ছে আইসিটি খাতে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি ঝরতে পারে যেসব অঞ্চলে

রাজনীতি নিষিদ্ধ কুবি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে শিবির-ছাত্রদল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ৩৫ বার পঠিত

আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ১০০তম সিন্ডিকেট সভায় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিনিয়ত সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। 

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে যদি কেউ রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার করে থাকে সেক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ক্যাম্পাস সংলগ্ন একটি রিসোর্টে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণের মধ্য দিয়ে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করেছেন কুবি শাখা ছাত্রশিবির। সংগঠনটির সভাপতি লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ ইসলাহি এবং সেক্রেটারি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম। এসময় শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, ঢাবি সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ সহ বিভিন্ন দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ২০২১ সালে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য সচিব ইংরেজি বিভাগের মুস্তাফিজুর রহমান শুভ। তাদের কারোই বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই।

ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর, প্রথম সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের উপস্থিতিতে গত ১৫ অক্টোবর স্থানীয় একটি রিসোর্টে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন তারা। সেসময় ছাত্রদলের পদধারী নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসের দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোসহ ভর্তিচ্ছু নবীন শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে বরণ করেন তারা।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মুস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত রাজনৈতিক চর্চা থাকবে এটা সবাই প্রত্যাশা করে। কিন্তু বিগত সময়ে ছাত্রলীগের কলুষিত রাজনৈতিক চর্চার কারণে শিক্ষার্থীদের মনে রাজনীতি সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের মনোভাবকে পজিটিভ করার জন্যই আমাদের এই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু একটি আইন করেছেন, সেহেতু সেই আইনকে সম্মান জানিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

নবীন বরণের মধ্য দিয়ে ছাত্র শিবিরের প্রকাশ্যে আসার বিষয়ে সভাপতি ইউসুফ ইসলাহি বলেন, বিগত সরকারের আমলে শিবির কর্মীদের উপর নানা রকম ঝুলুম করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ ও আবরার ফাহাদের মতো অনেক শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র শিবির সন্দেহে হত্যা করা হয়েছে। তাই এতদিন আমরা কৌশলগত কারণে প্রকাশ্যে আসতে পারিনি।

ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ব্যক্তির কোনো না কোনো রাজনৈতিক আদর্শ রয়েছে। শিবিরও তার ব্যতিক্রম নয়। আমরা আজ নবীনদের বরণের জন্যই মূলত এখানে একত্রিত হয়েছি। নিজেদের পরিচয় জানানোটা মূল উদ্দেশ্য ছিলনা।

রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রক্টর ড. মো: আবদুল হাকিম বলেন, তারা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করেছে কিনা আমি জানি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে  কোনো রাজনৈতিক দল প্রোগ্রাম করতে পারে না।

ভিসি অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অঙ্গীকারনামায় পূর্বেও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। তবে তা কেউ মানেনি। বর্তমানে আমরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কাউকে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছিনা। ভবিষ্যতেও দিবো না। বাহিরে যদি কেউ কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করে সেক্ষেত্রে তো আমরা কিছু করতে পারি না। আগামী সিন্ডিকেট সভায় ছাত্র রাজনীতির নিষিদ্ধের আওতায় শিক্ষার্থীরা কি কি করতে পারবে এবং কি কি করতে পারবেনা, তা স্পষ্ট করে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ০৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সকল ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেসময় বলা হয়, কোনো শিক্ষার্থী যদি রাজনৈতিক সংগঠন কিংবা তার ভ্রাতৃপ্রতিম  সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়াও, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন আইনের ৪৩ অনুচ্ছেদের ৪ নং ধারায় বলা আছে, কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হইতে পারিবেন না। তবে এই সিদ্ধান্তকে অমান্য করে সদ্য পদত্যাগ করা ভিসি অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন নিজেই আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির মেম্বার হন।

ট্যাগস :

রাজনীতি নিষিদ্ধ কুবি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে শিবির-ছাত্রদল

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ১০০তম সিন্ডিকেট সভায় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিনিয়ত সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। 

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে যদি কেউ রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার করে থাকে সেক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ক্যাম্পাস সংলগ্ন একটি রিসোর্টে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণের মধ্য দিয়ে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করেছেন কুবি শাখা ছাত্রশিবির। সংগঠনটির সভাপতি লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ ইসলাহি এবং সেক্রেটারি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম। এসময় শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, ঢাবি সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ সহ বিভিন্ন দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ২০২১ সালে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য সচিব ইংরেজি বিভাগের মুস্তাফিজুর রহমান শুভ। তাদের কারোই বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই।

ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর, প্রথম সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের উপস্থিতিতে গত ১৫ অক্টোবর স্থানীয় একটি রিসোর্টে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন তারা। সেসময় ছাত্রদলের পদধারী নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসের দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোসহ ভর্তিচ্ছু নবীন শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে বরণ করেন তারা।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মুস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত রাজনৈতিক চর্চা থাকবে এটা সবাই প্রত্যাশা করে। কিন্তু বিগত সময়ে ছাত্রলীগের কলুষিত রাজনৈতিক চর্চার কারণে শিক্ষার্থীদের মনে রাজনীতি সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের মনোভাবকে পজিটিভ করার জন্যই আমাদের এই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু একটি আইন করেছেন, সেহেতু সেই আইনকে সম্মান জানিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

নবীন বরণের মধ্য দিয়ে ছাত্র শিবিরের প্রকাশ্যে আসার বিষয়ে সভাপতি ইউসুফ ইসলাহি বলেন, বিগত সরকারের আমলে শিবির কর্মীদের উপর নানা রকম ঝুলুম করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ ও আবরার ফাহাদের মতো অনেক শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র শিবির সন্দেহে হত্যা করা হয়েছে। তাই এতদিন আমরা কৌশলগত কারণে প্রকাশ্যে আসতে পারিনি।

ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ব্যক্তির কোনো না কোনো রাজনৈতিক আদর্শ রয়েছে। শিবিরও তার ব্যতিক্রম নয়। আমরা আজ নবীনদের বরণের জন্যই মূলত এখানে একত্রিত হয়েছি। নিজেদের পরিচয় জানানোটা মূল উদ্দেশ্য ছিলনা।

রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রক্টর ড. মো: আবদুল হাকিম বলেন, তারা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করেছে কিনা আমি জানি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে  কোনো রাজনৈতিক দল প্রোগ্রাম করতে পারে না।

ভিসি অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অঙ্গীকারনামায় পূর্বেও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। তবে তা কেউ মানেনি। বর্তমানে আমরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কাউকে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছিনা। ভবিষ্যতেও দিবো না। বাহিরে যদি কেউ কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করে সেক্ষেত্রে তো আমরা কিছু করতে পারি না। আগামী সিন্ডিকেট সভায় ছাত্র রাজনীতির নিষিদ্ধের আওতায় শিক্ষার্থীরা কি কি করতে পারবে এবং কি কি করতে পারবেনা, তা স্পষ্ট করে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ০৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সকল ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেসময় বলা হয়, কোনো শিক্ষার্থী যদি রাজনৈতিক সংগঠন কিংবা তার ভ্রাতৃপ্রতিম  সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়াও, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন আইনের ৪৩ অনুচ্ছেদের ৪ নং ধারায় বলা আছে, কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হইতে পারিবেন না। তবে এই সিদ্ধান্তকে অমান্য করে সদ্য পদত্যাগ করা ভিসি অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন নিজেই আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির মেম্বার হন।