রাতে সড়ক-মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক

- আপডেট সময় : ০৯:৪৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫ ২০ বার পঠিত
স্থানীয় সড়ক বা মহাসড়ক কোনোটিই এখন আর রাতে নিরাপদ নয়। যে কোনো জায়গায় হঠাৎ করেই হাজির হচ্ছে ডাকাত দল। সরকারের তরফ থেকে নানা ঘোষণা থাকলেও এগুলো খুব একটা কাজে আসছে না। সর্বশেষ শুক্রবার মধ্যরাতে পাবনার সাঁথিয়ায় গণডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা যাত্রীদের সর্বস্ব নিয়ে গেছে। একইভাবে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একই স্থানে দুই জন প্রবাসী ডাকাতির শিকার হয়েছেন। বিদেশ থেকে আসা এই প্রবাসীদের সবকিছু নিয়ে গেছে ডাকাতরা। দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে কুমিল্লার মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাজশাহীগামী একটি বাসে ডাকাতির ঘটনায় দুই জন নারীকে শ্লীলতাহানি করা হয়। টাঙ্গাইলেই ডাকাতি হয়েছে শিক্ষার্থীদের পিকনিকের চারটি বাসে।
একই স্থানে ডাকাতি হচ্ছে, পুলিশ কী করছে? জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খাইরুল আলম বলেন, ‘একই স্থানে দুই দিনের মধ্যে ডাকাতির ঘটনায় আমরা মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ওসি জসিম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করেছি। কেন একই স্থানে ডাকাতি হয়েছে, সেটার অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে, বিমানবন্দর থেকেই ঐ দুই প্রবাসীর গাড়ি ফলো করা হচ্ছিল। অথবা হাইওয়েতে রেস্টুরেন্টে তারা যখন খেতে বসেছে তখন থেকেই ডাকাতরা ফলো করেছে। আবার কৌশলে প্রবাসীদের গাড়িতে জিপিআরএসও লাগিয়ে থাকতে পারে ডাকাতরা। ঐটা অপেক্ষাকৃত নির্জনস্থান। ফলে ঐখানেই তারা টার্গেট করে। আমরা ঐ এলাকাসহ আশপাশের সড়কে নিরাপত্তা বাড়িয়েছি।’
সাঁথিয়ায় গাছ ফেলে গণডাকাতি :আমাদের সাঁথিয়া (পাবনা) সংবাদদাতা জানান, সাঁথিয়ায় মধ্যরাতে সড়কে গাছ ফেলে বাস-ট্রাকসহ অন্তত ১৫টি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পাবনা-সাঁথিয়া আঞ্চলিক সড়কের ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখে ডাকাত দলের সদস্যরা। এতে কিছু সময়ের মধ্যেই বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার ও হায়েস মাইক্রোবাসসহ প্রায় ৪০টি গাড়ি আটকে পড়ে।
এসময় ২০ থেকে ৩০ জন হাঁসুয়া, রামদা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পর্যায়ক্রমে গাড়িগুলোতে ডাকাতি চালায়। গাড়ির গেট খুলতে দেরি করায় কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। এসময় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ তাণ্ডব চলে বলে জানা যায়।
ডাকাতির কবলে পড়া আব্দুস সালাম নামে এক ইসলামি বক্তা ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বক্তব্যে বলেন, কিছুক্ষণ আগে এই সড়কে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়িগুলোতে ডাকাতি করেছে। হুট করে আমাদের গাড়িতে আক্রমণ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। বার বার গাড়িতে আঘাতের পর আমরা ড্রাইভারকে গেট খুলে দিতে বললে ডাকাতরা ঢুকে ড্রাইভারের গলা ও পেটে চাকু ধরে। একইভাবে অন্যদেরও জিম্মি করে সব লুটে নিয়ে যায়। আমরা বলেছি, ভাই যা আছে সব নেন, কিন্তু কাউকে আঘাত কইরেন না। আমাদের গাড়িতে কাউকে আঘাত করেনি। অনুরোধ করায় আমার দুটি মোবাইল দিয়ে যায়।
তিনি বলেন, একটা হায়েস মাইক্রোবাসে করে দেশে ফিরছিলেন এক প্রবাসী। ঐ গাড়িতে আক্রমণ করে কয়েক জনকে মারধর করে সব লুটে নিয়ে গেছে। একইভাবে সব গাড়িতে পর্যায়ক্রমে ডাকাতি চালায়। গাড়ি ভাঙচুর ও অনেককেই মারধর করে। স্থানীয় সাংবাদিক তোফাজ্জ্বল হোসেন জানান, ডাকাতরা আমার গলায় ধারালো ছুরি ধরে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় প্রায় ৩০টি গাড়ি দাঁড় করানো হয়েছিল। স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে সাঁথিয়ায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মারামারি ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তবে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, ডাকাতির ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঐ রাতে ঐ সড়কে তিনটি গাড়িতে ডাকাতি হওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। এর মধ্যে হায়েস মাইক্রোবাসে থাকা পাঁচ যাত্রীর কাছ থেকে তারা সর্বস্ব নিয়ে গেছে। ঐ গাড়িতে করে একজন প্রবাসী দেশে ফিরছিলেন। তাদের কাছে থেকে দেশি-বিদেশি মুদ্রায় ১৫ লাখ টাকার বেশি এবং সাত ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।
কুমিল্লায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একই স্থানে ডাকাতি : আমাদের কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার শরিফপুর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন। তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী। দীর্ঘ তিন বছর পর দেশে এসেছেন তিনি। গত শুক্রবার রাত ১০টায় রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার ফ্লাইট অবতরণ করে। এরপর প্রাইভেট কার ভাড়া করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফালগুনকরা মাজার এলাকায় একদল ডাকাত বেলাল হোসেনের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। ঐ প্রবাসীর ইচ্ছা ছিল, এবারের ঈদটা পরিবারের সঙ্গে আনন্দে কাটাবেন। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফেরার আগেই ডাকাতেরা যেন তার স্বপ্ন লুটে নিয়েছে।
শুধু বেলাল হোসেনই নন, দুই দিন আগে একই স্থানে আরও এক প্রবাসী একই কায়দায় ডাকাতির শিকার হয়েছেন। ঐ প্রবাসীর নাম নাইমুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। নাইমুল কুয়েতে থাকেন। দীর্ঘ ১৯ মাস পর তিনিও ঈদ করতে দেশে এসেছেন। গত বুধবার রাত ১১টায় তার ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তাকে নিতে তার বাবা আবুল খায়ের ও নিকটাত্মীয় নুরুল ইসলাম বিমানবন্দরে এসেছিলেন। তারা একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। ভোরে মাইক্রোবাসটি চৌদ্দগ্রামের ফালগুনকরা মাজার এলাকায় এলে একদল ডাকাত নাইমুলের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। তিনি যখন বাড়িতে ফেরেন, শেষ পর্যন্ত কিছুই তার সঙ্গে ছিল না।
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই স্থানে প্রবাসীর গাড়িতে দুটি ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফালগুনকরা মাজার এলাকা চৌদ্দগ্রাম থানা থেকে মাত্র ৫০০ গজ দূরে। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ডাকাতদের ধরতে মাঠে রয়েছে পুলিশ। দুটি ডাকাতির ঘটনা প্রায় একই ধরনের বলে জানিয়েছে তারা।
মহাসড়কে চৌদ্দগ্রাম অংশে দুই মাসে চারটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১৫ জানুয়ারি মহাসড়কের মিশ্বানী এলাকায় ৩০০ বস্তা চালভর্তি ট্রাক পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মিয়া বাজার মসজিদ মার্কেটে প্রীতি জুয়েলার্স নামে স্বর্ণ দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দল গুলি বর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। লুট হয় ৩৫ ভরি স্বর্ণ। ডাকাতদের গুলিতে আহত হন মোশাররফ নামে এক ব্যবসায়ী।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুলিশের ১২ চেকপোস্ট : আমাদের মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জানান, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের ভাষ্যমতে, ঐদিন রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাস ছাড়ে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে ঘুরিয়ে একই জায়গায় বাসটি নিয়ে গিয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে ডাকাতেরা নেমে যায়। এরপর বাসের চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজার নানান টালবাহানা করতে থাকে। তারা বলেন, তাদের গাড়িতে তেল নেই। অবশেষে যাত্রীদের চাপের মুখে পড়ে তারা রাজশাহীর উদ্দেশে বাস ছাড়েন। যাত্রীরা প্রথমে বাসটি নিয়ে মামলা করার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে তখন ওসি ছিলেন না বলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পর বাসটি বড়াইগ্রামে থানায় ঢোকানো হয়। সেখানে মামলা হয়। এই গাড়িতে ডাকাতির সময় দুই নারীকে শ্লীলতাহানি করা হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ ২২ কিলোমিটার রাস্তায় ডাকাত প্রতিরোধ ও যাত্রীদের রাতে নির্বিঘ্ন নিরাপত্তায় মির্জাপুর থানা-পুলিশ ১২ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করেছে। যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও সব ধরনের যানবাহন চলাচলে কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা কৌশলে সম্প্রতি এই মহাসড়কে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এই বিচ্ছিন্ন ঘটনা সারা দেশে আলোড়নসহ প্রশাসনে তোলপার সৃষ্টি হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনায় মহাসড়কের বোর্ডঘর স্কয়ার থেকে নাটিয়াপাড়া পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তায় রাতে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে যানবাহন চেকিং করা হচ্ছে।
আরও কিছু ডাকাতির ঘটনা :গত ১৪ জানুয়ারি র্যাব পরিচয়ে নারায়ণগঞ্জ বন্দরে যাত্রীবাহী বাসের গতিরোধ করে দুই প্রবাসীকে তুলে নিয়ে মারধর ও ডাকাতির ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম আবদুল হক ওরফে স্বপন (৪৫)। র্যাব জানায়, ১৪ জানুয়ারি আবু হানিফ ও রাজিব ভূঁইয়া নামে দুজন দুবাই প্রবাসী এয়ারপোর্ট থেকে গুলিস্তান হয়ে একটি বাসে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হন। বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কেওডালায় পৌঁছালে একটি সাদা রঙের গাড়ি তাদের বহনকারী বাসটির গতিরোধ করে। পরে কয়েক জন ব্যক্তি বাসে উঠে নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে প্রবাসী আবু হানিফ ও রাজিব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে দাবি করে এবং তাদের নামিয়ে নিয়ে যায়। এরপর দুই প্রবাসীকে ঐ সাদা গাড়িতে তুলে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। এ সময় দুই প্রবাসীর কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইলসহ সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় তারা।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শিক্ষাসফরের চারটি বাসে ডাকাতির ঘটনায় ঘাটাইল থানার মামলায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ওসি (তদন্ত) সজল খান। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে নাটোর শিক্ষাসফরে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের মালিরচালা এলাকায় চারটি বাস ডাকাতদের কবলে পড়ে। ডাকাতদল সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে তিনটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। ডাকাতরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ফোন, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারে চলন্ত বাসে যাত্রীবেশে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। বাসের যাত্রী ও ডাকাতির শিকার প্রাইম ব্যাংক কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন মাসুদ জানান, বৈশাখী পরিবহনের ঢাকাগামী বাসটি সাভারের বিভিন্ন স্টপেজে না থামিয়ে সরাসরি ঢাকার দিকে দ্রুত গতিতে চলতে থাকে। না থামানোর কারণ এবং যাত্রীরা সেখানে নামতে চাইলে তাদের মারধর শুরু করে ডাকাত দলের সদস্যরা।
এগুলো ছাড়াও গত দুই মাসে বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, সিলেটসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রাতের বাস থামিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।