ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল জাপানের ক্ষমতাসীন জোট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ১০ বার পঠিত

জাপানের সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। গত এক যুগের মধ্যে এই জোটের জন্য নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল হলো এবারই। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে অর্ধেকেরও বেশি আসন পেয়েছে বিরোধী দলগুলো। গতকাল রবিবার নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল তাই বলছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বা ডায়েটের ২২টি আসনের ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। 

আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন এলডিপি এবং তাদের মিত্র দল কোমেইতো মোট ২০৮টি আসন পেয়েছে, যেখানে বিরোধী দলগুলো পেয়েছে ২৩৫টি আসন। এলডিপি একা পেয়েছে ১৯১টি আসন। দেশটিতে ক্ষমতায় যেতে একটি দল বা জোটের জন্য কমপক্ষে ২৩৩টি আসন প্রয়োজন হয়।

নির্বাচনের এই ফলাফলের কারণে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে সরকার গঠন হবে কীভাবে তা নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (সিডিপি) পেয়েছে ১৪৩টি আসন। জাপানের গণমাধ্যম এনএইচকে এই তথ্য দিয়েছে।

 

শিগেরু ইশিবা এলডিপির নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার তিনদিন পরে এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই এই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় ইশিবা এনএইচকে-কে বলেন, ‘ভোটাররা কঠোর রায় দিয়েছে এবং আমাদের খুব বিনয়ের সঙ্গে এই রায় মেনে নিতে হবে।’

গত কয়েকটি বছর টালমাটাল অবস্থায় কেটেছে এলডিপির সময়।  এ সময়টি ছিল কেলেঙ্কারীতে ঠাসা, ভোটারদের উদাসীনতা আর সমর্থনের রেকর্ড নিম্নমুখী প্রবণতা। এ বছরের শুরুতে ভোটারদের সমর্থনের পাল্লা রেকর্ড ২০ শতাংশে নেমে আসে। মূলত দলের তহবিল কেলেঙ্কারীর খবর ফাঁস হওয়ার পরপরই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলোও ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি, পাশাপাশি পারেনি ভোটারদের প্রভাবিত করে পক্ষে আনতে। নির্বাচনের আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরপর প্রধান বিরোধী দল সিডিপির ভোটার সমর্থন ছিল মাত্র ৬.৬ শতাংশ।

এ বিষয়ে মিউকি ফুজিসাকি নামে এলডিপির একজন দীর্ঘদিনের সমর্থক বলেন, ‘কোন দলকে বেছে নেব সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, আমি মনে করি জনগণ তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এলডিপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে, তবে বিরোধী দলও দাঁড়াতে পারছে না।’

ট্যাগস :

সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল জাপানের ক্ষমতাসীন জোট

আপডেট সময় : ১২:৪১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

জাপানের সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। গত এক যুগের মধ্যে এই জোটের জন্য নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল হলো এবারই। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে অর্ধেকেরও বেশি আসন পেয়েছে বিরোধী দলগুলো। গতকাল রবিবার নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল তাই বলছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বা ডায়েটের ২২টি আসনের ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। 

আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন এলডিপি এবং তাদের মিত্র দল কোমেইতো মোট ২০৮টি আসন পেয়েছে, যেখানে বিরোধী দলগুলো পেয়েছে ২৩৫টি আসন। এলডিপি একা পেয়েছে ১৯১টি আসন। দেশটিতে ক্ষমতায় যেতে একটি দল বা জোটের জন্য কমপক্ষে ২৩৩টি আসন প্রয়োজন হয়।

নির্বাচনের এই ফলাফলের কারণে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে সরকার গঠন হবে কীভাবে তা নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (সিডিপি) পেয়েছে ১৪৩টি আসন। জাপানের গণমাধ্যম এনএইচকে এই তথ্য দিয়েছে।

 

শিগেরু ইশিবা এলডিপির নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার তিনদিন পরে এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই এই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় ইশিবা এনএইচকে-কে বলেন, ‘ভোটাররা কঠোর রায় দিয়েছে এবং আমাদের খুব বিনয়ের সঙ্গে এই রায় মেনে নিতে হবে।’

গত কয়েকটি বছর টালমাটাল অবস্থায় কেটেছে এলডিপির সময়।  এ সময়টি ছিল কেলেঙ্কারীতে ঠাসা, ভোটারদের উদাসীনতা আর সমর্থনের রেকর্ড নিম্নমুখী প্রবণতা। এ বছরের শুরুতে ভোটারদের সমর্থনের পাল্লা রেকর্ড ২০ শতাংশে নেমে আসে। মূলত দলের তহবিল কেলেঙ্কারীর খবর ফাঁস হওয়ার পরপরই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলোও ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি, পাশাপাশি পারেনি ভোটারদের প্রভাবিত করে পক্ষে আনতে। নির্বাচনের আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরপর প্রধান বিরোধী দল সিডিপির ভোটার সমর্থন ছিল মাত্র ৬.৬ শতাংশ।

এ বিষয়ে মিউকি ফুজিসাকি নামে এলডিপির একজন দীর্ঘদিনের সমর্থক বলেন, ‘কোন দলকে বেছে নেব সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, আমি মনে করি জনগণ তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এলডিপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে, তবে বিরোধী দলও দাঁড়াতে পারছে না।’