মাকে সাথে করে নিয়ে কষ্টের এক আনন্দাশ্রু বইছে আইনজীবী সেগুফতা তাবাসসুম আহমদের চোখে! তিনি ছিলেন তার বাবার হত্যার মামলার একজন আইনজীবী। দীর্ঘ ১৬ বছর কঠিন আইনি লড়াই শেষে তিনি তার বাবার হত্যার চূড়ান্ত রায় পেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে। তার পরিশ্রম সার্থক। এজন্য মাকে সাথে নিয়ে মিডিয়ার সামনে এসে আর কান্না লুকিয়ে রাখতে পারেননি!
তার বাবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তাহের আহমেদকে যখন হত্যা করা হয় সেগুফতা তখন ইন্টারের ছাত্রী! বাবা হত্যার বিচারের জন্য তিনি সিদ্ধান্ত বদলে আইনে পড়াশুনা শুরু করেন। পরবর্তীতে বিচারিক আদালতের রায় হাইকোর্টে গেলে সেটা যেন নিশ্চিত হতে পারে সেজন্য হাইকোর্টে প্রাক্টিস শুরু করেন! শুনেই চোখ ভিজেছে।
গতকাল দেশের আপিল বিভাগ খুব গুরুত্বপূর্ণ এই রায় দেয়। অধ্যাপক তাহের আহমেদকে নৃশংসভাবে হত্যা করার জন্য দুজনকে মৃত্যুদন্ড ও আরো দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়! তার জন্য লেগে গেল ১৬ বছর! অবিশ্বাস্য! ২০১৩ সালে হাইকোর্টের থেকে আপিলেট ডিভিশনের রায় পেতেই ৯ বছর! ভয়ংকর ব্যাপার মূল আসামী তারই ডিপার্টমেন্টে সহযোগী অধ্যাপক মহিউদ্দিন যে কিনা একসময় তার ছাত্র ছিলো! শুধুমাত্র পদন্নোতির পথে বাধা হওয়ায় খুনী মহিউদ্দিন কেয়ারটেকার সাথে নিয়ে তাহের স্যারকে খুন করে সেপ্টিক ট্যাংকে ফেলে রাখে! ভাবা যায়! সারা দেশ তখন তোলপাড় হল৷ প্রক্রিয়া শেষে হারামিগুলিকে ঝুলায় দেয়া হোক। এই পরিবারটির উপর দিয়ে কি ঝড় বয়ে গেছে ভাবতেই চুপসে যাচ্ছি!