সফলতায় নারী “আদর্শ খামারী” গৃহিনী সালমা বেগম
আদর্শ খামারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন গৃহবধু সালমা বেগম। স্বামী প্রবাসে থাকেন নিজে বাড়িতে গড়েছেন এক আদর্শ খামার। গরু পালন,পুকুরে মাছ চাষ,দেশী মুরগি পালন, গরুর খাবারের যোগান দিতে ঘাস চাষ করে সারা দিন তার কাটে এসবের পিছে কর্ম ব্যস্ততায়।
আজকাল অধিকাংশ মেয়েদের #স্বামী #বিদেশে থাকলে স্ত্রীরা শশুর শাশরী দেবর ননদ ফেলে শহরে গিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকেন,গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না করে খান,আর ভারতীয় সিরিয়ার ইউটিউব ফেসবুক নিয়েই থাকেন সারা দিন। স্বামী প্রতিমাসে প্রবাস থেকে টাকা পাঠাবেন আর পানির মতন খরচ করবেন এমনটাই দেখা যায় বর্তমানে প্রবাসীদের স্ত্রীদের । কিন্তু সালমা বেগমকে দেখা গেছে ভিন্ন এক নারী হিসাবে। বিয়ের পর থেকে শশুর শাশড়ী দেবর ননদ নিয়ে সংসার করেছেন।
বলছিলাম #বরিশালের #গৌরনদী উপজেলার #খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ব্রাম্মনগাও গ্রামের ইউনুস হাওলাদারের কন্যা ও ইল্লা গ্রামের সৌদী প্রবাসী সেলিম সরদারের স্ত্রী আদর্শ খামারী সালমা বেগমের কথা।
২০০০ সালে বিয়ের পর শশুর শাশড়ীর সাথে একত্রে সংসার করে স্বামীকে বিদেশে পাঠান , একে একে দেবরদের বিদেশে পাঠান, একমাত্র ননদকে বিয়ে দেন। বিয়ে দিয়ে ১৯ বছর একসাথে সংসার করে গত তিন বছর পূর্বে শশুরের দেখানো ৭ জৈষ্ট পতিত নালা ডোবা ভিটায় বসত ঘরসহ আলাদা আলাদা ঘর করেন। শুধু ঘর করেই খ্যন্ত দেন নি সালমা বেগম, শুরু করেন গরুর খামার, দেশী মুরগীর খামার ও পুকুরে শুরু করেন মাছ চাষ । গরুর খাবারের যোগান দিতে ২০ শতকের জমিতে চাষ করেন যমুনা নামক নেপেলিয়ান ঘাস। আর গরুর গোবর ফেলে না দিয়ে তা পুকুরে দিয়ে মাছের খাবারের যোগান দিচ্ছেন। প্রতিটি গরুতে ৭/১০ কেজি #দুধ দোহন করেন। তা স্থানীয় বাজারে বিক্রী করেন । পরবর্তীতে গরুর গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস প্লান্ট করার চিন্তা রয়েছে মাথায়।
বিদেশ থেকে টাকার আশায় বসে না থেকে #আদর্শ খামার গড়ে এখন নিজেই একজন সফল #নারী উদ্যোক্তা হয়েছেন। ১ মেয়ে ১ ছেলের জননী সালমা বেগম। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন,ছেলে হাফেজী পড়েন।