ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীতাকুণ্ড শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:২৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৬ বার পঠিত

সীতাকুণ্ডে এসএন কর্পোরেশন শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১ জনসহ মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আইসিইউতে হাবিব (৩৬) নামে আরও ১ জন মারা যায়। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে মারা যান আহমেদ উল্লাহ (৩৮) এবং রবিবার রাতে মারা যায় খায়রুল শেখ (২১)। মোট এ পর্যন্ত শিপ ইয়ার্ডের বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জন মারা যান।

বার্ন ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দগ্ধ হাবিবের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। বাকি ৫জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে ৩ জনকে আইসিইউতে এবং ২ জনকে এইচডিইউ’তে রাখা হয়।দগ্ধের পাশাপাশি তাদের সবার শ্বাসনালী পুড়ে যায়।

বর্তমানে বরকত উল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেন ২৫ শতাংশ, আল আমিন ৮০ শতাংশ, জাহাঙ্গীর আলম ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেম ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। এদের মধ্যে আনোয়ার ও হাবিব এইচডিইউতে আর বাকি ৩ জন আইসিইউতে আছে।

মৃত হাবিবের শ্যালক মো. হিমেল জানান, তাদের বাড়ির জামালপুর সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামে। হাবিবের বাবার নাম মৃত ফরিদ উদ্দিন।সে কাজ শেষে থাকতেন কারখানার পাশের একটি মেসে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে শনিবার দিবাগত রাতে তাকে ঢাকায় বার্ন ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

উল্লেখ্য শনিবার বেলা ১২টার দিকে সীতাকুণ্ড সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরী মালিকানাধীন এসএন কর্পোরেশনের জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ ও আহত হন ১২ জন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

ট্যাগস :

সীতাকুণ্ড শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩

আপডেট সময় : ০২:২৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সীতাকুণ্ডে এসএন কর্পোরেশন শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১ জনসহ মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আইসিইউতে হাবিব (৩৬) নামে আরও ১ জন মারা যায়। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে মারা যান আহমেদ উল্লাহ (৩৮) এবং রবিবার রাতে মারা যায় খায়রুল শেখ (২১)। মোট এ পর্যন্ত শিপ ইয়ার্ডের বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জন মারা যান।

বার্ন ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দগ্ধ হাবিবের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। বাকি ৫জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে ৩ জনকে আইসিইউতে এবং ২ জনকে এইচডিইউ’তে রাখা হয়।দগ্ধের পাশাপাশি তাদের সবার শ্বাসনালী পুড়ে যায়।

বর্তমানে বরকত উল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেন ২৫ শতাংশ, আল আমিন ৮০ শতাংশ, জাহাঙ্গীর আলম ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেম ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। এদের মধ্যে আনোয়ার ও হাবিব এইচডিইউতে আর বাকি ৩ জন আইসিইউতে আছে।

মৃত হাবিবের শ্যালক মো. হিমেল জানান, তাদের বাড়ির জামালপুর সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামে। হাবিবের বাবার নাম মৃত ফরিদ উদ্দিন।সে কাজ শেষে থাকতেন কারখানার পাশের একটি মেসে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে শনিবার দিবাগত রাতে তাকে ঢাকায় বার্ন ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

উল্লেখ্য শনিবার বেলা ১২টার দিকে সীতাকুণ্ড সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরী মালিকানাধীন এসএন কর্পোরেশনের জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ ও আহত হন ১২ জন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।