আরবি হিজরি সনের রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে মানব মুক্তির পথ প্রদর্শক, বিশ্ব শান্তির দূত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী রাসূলে পাক হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এঁর জন্ম এবং মৃত্যুবার্ষিকী। যদিও ইসলামী ইতিহাসের গবেষকদের মাঝে বিশ্বনবীর (সঃ) জন্মদিন নিয়ে বিস্তার মতভেদ রয়েছে। কারণ, এ সম্পর্কিত কোনো অকাট্য দলিল কোরআন এবং সহীহ হাদিসে উল্লেখ নেই। তৎকালীন সময়ে জন্মদিন পালনের কোনো রেওয়াজ ছিল না।
অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করতে এবং মানুষকে সত্য, ন্যায় ও পরকালীন মুক্তির পথ দেখাতে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মতান্তরে ৫৭১ খ্রিস্টাব্দে ১২ রবিউল আউয়াল মতান্তরে রবিউল আউয়াল মাসের কোনো এক সোমবার মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মহানবী (সঃ)-এঁর সঠিক জন্মবার্ষিকী নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও তাঁর ওফাত দিবস (মৃত্যুবার্ষিকী) নিয়ে কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ, ইতিহাসবিদ কিংবা গবেষকদের মধ্যে বিন্দুমাত্র দ্বিমত নেই। তিনি ইংরেজি ৬৩২ খ্রিস্টাব্দ তথা আরবি ১১ হিজরি সনের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রত্যাবর্তন করেন অর্থাৎ ওফাত লাভ করেন।
সুতরাং আজ ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এঁর জন্মদিন কিনা সেটা শতভাগ নিশ্চিত হওয়া না গেলেও (একমাত্র আল্লাহ জানেন) আজ ১২ রবিউল আউয়াল যে তাঁর ওফাত দিবস (মৃত্যুবার্ষিকী) তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। সুতরাং আজকের দিন মুসলমানদের জন্য কোনো আনন্দের দিন হতে পারে না। আজকের দিনটি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য গভীর শোক এবং বেদনার একটি দিন। ঈদ মানে যদি আনন্দ হয় তাহলে এমন একটি বেদনাবিধুর দিনে ঈদে মিলাদুন নবী নামে বিশ্বনবী (সঃ)-এঁর জন্মদিন পালন করা কতটা যৌক্তিক? কতটা ইসলামী শরীয়ত সম্মত? ইসলামী স্কলার এবং বুজুর্গদের কাছে এই প্রশ্ন রেখে আমার লেখাটা শেষ করলাম।