শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
Logo অ্যাডভোকেট আরিফা আক্তার বিথির আনুষ্ঠানিক প্রার্থী ঘোষণা Logo তাহারা কি আই‌নের উ‌র্দ্ধে ? ফ‌রিদুল মোস্তফা Logo কালকিনি (মাদারীপুর) উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান -২০২৪ অনুষ্ঠিত Logo মাদারীপুর ৩ আসনের এমপি মোছাম্মৎ তাহমিনা বেগমের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমের সাথে ঈদ পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় Logo মাদারীপুরের কালকিনির রমজানপুর ইউনিয়নে “আব্দুর রব তালুকদার -মাহমুদা বেগম ফাউন্ডেশন” এর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ Logo ঢাকাসহ ৭ অঞ্চলে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস Logo বাড়ি ফিরছে মানুষ, ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা Logo গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত শহর হারাল মিয়ানমার জান্তা, বাঁচলো আত্মসমর্পণ করে Logo ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় Logo আমিরাতে সোমবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার আহ্বান

চট্টগ্রামে আবাসিকে গ্যাস নিয়ে ভোগান্তি বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৭৫
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে দুর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে। আবাসিকে রান্নার চুলা জ্বলছে না। সকাল ১০টার আগেই আবাসিকে গ্যাস চলে যায় আসে বেলা ২টার পর। সন্ধ্যায় আবার চলে যায় পাইপলাইনের গ্যাস। সরবরাহ লাইনে চাপ কম থাকায় সকল শ্রেণির গ্রাহককে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সংকটের কারণে চট্টগ্রামে গ্যাসসংযোগ একবার বন্ধ হলে আর চালু হচ্ছে না। শিল্প, আবাসিক ও বাণিজ্যে সরবরাহ অনেক কমানো হয়েছে। এখানে সংকটের মধ্যে আমদানি করা এলএনজি চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে চট্টগ্রামে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ বাড়ছে।

শীতকালে আবাসিকে গ্যাসের চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। রান্নার ছাড়াও অন্যান্য কাজে গ্যাসের ব্যবহার বাড়ে। গত কয়েক মাস যাবত চট্টগ্রামে অব্যাহতভাবে গ্যাসসংকট বিরাজ করছে। আবাসিক গ্রাহকদের অভিযোগ, দুপুরের রান্না ও সন্ধ্যায় গ্যাস নিয়ে প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সকাল ১০টার কিছু আগ থেকে পাইপলাইনে চাপ কমতে শুরু করে। চুলায় যে পরিমাণ চাপ থাকে তাতে রান্না করা যাচ্ছে না। বেলা ২টার পর চাপ বাড়তে থাকে। প্রতিদিনই লাইনের গ্যাস নিয়ে সমস্যার কারণে অনেকেই আপত্কালীন সময়ে বোতলের এলপি গ্যাস ব্যবহার শুরু করেছে। এতে গ্রাহকদের গ্যাস ব্যবহার নিয়ে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। লাইনের গ্যাসের বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত কম বেতনের চাকরিজীবীদের বাড়তি ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গ্রাহকদের লাইনের গ্যাসের ১ হাজার ৮০ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে আবার ১ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে এলপি গ্যাস কিনতে হচ্ছে। লাইনের গ্যাসসংকটে বেসরকারি কোম্পানির এলপি গ্যাস নির্ধারিত দরের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে এলপি গ্যাসের চাহিদা বেড়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাকলিয়া, চান্দগাঁও, চকবাজার, আগ্রাবাদ, চাক্তাই, নাসিরাবাদ, এনায়েত বাজার, ডবলমুরিং, পাহাড়তলীসহ বিভিন্ন স্থানে আবাসিকে গ্যাসসংকট নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন উত্তর) প্রকৌশলী শফিউল আজম খান বলেন, ‘চট্টগ্রামে দৈনিক চাহিদা ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। চাহিদার বিপরীতে ২৭০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। সরবরাহ লাইনে চাপ কম নিয়ে প্রতিদিনই অভিযোগ পাচ্ছি। কিন্তু সরবরাহ না বাড়লে কিছুই করার নেই।’      

কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শিল্প, বাণিজ্যিক, আবাসিক বিভিন্ন পর্যায়ে গ্যাসসংকট নিয়ে প্রতিদিনই অভিযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু তারা কোনো সমসাধান দিতে পারছেন না। গ্যাসসংকটের কারণে সারকারখানা সিইউএফএল, তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ কয়েক মাস যাবত বন্ধ রয়েছে। বর্ধিত চুলায় অবৈধ সংযোগ ও বকেয়া বিলের কারণে কয়েক মাস আগে প্রায় আড়াই শ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এসব গ্রাহক বকেয়া বিলও পরিশোধ করেছেন। কিন্তু গ্যাসসংকটের কারণে এসব বৈধ গ্রাহকরাও পুনঃসংযোগ পাচ্ছেন না বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। ফলে চট্টগ্রামে গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে শেষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী সংগঠন ও শিল্পোদ্যোক্তারা চট্টগ্রামে গ্যাস বরাদ্দ নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন।

চট্টগ্রামে এলএনজি গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হয়। এলএনজি আমদানি কমে বর্তমানে দৈনিক ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে। তার থেকে চট্টগ্রামে দৈনিক ২৭০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ সরবরাহ বাড়ানোর জন্য দাবি জানিয়ে এলেও সাড়া মিলছে না। কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, গ্যাসসংকটের কারণে চট্টগ্রামে ভোগান্তি হচ্ছে। কিন্তু এলএনজি আমদানি বাড়ানো না গেলে চট্টগ্রামে সরবরাহ বাড়ানোর সম্ভনা দেখছি না। পুনঃসংযোগের বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।

এলপি গ্যাস বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, লাইনের গ্যাসসংকটে ছোট ও মাঝারি শিল্পকারখানায় এলপি গ্যাস ব্যবহার বেড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ২০-২৫ টনের প্ল্যান্ট বসিয়ে শিল্পে এলপি গ্যাস ব্যবহার করছে। তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আবার ডলারসংকটে এলপি গ্যাস আমদানিও কমে গেছে। কারণ, ব্যাংকগুলো ১০/১৫ হাজার টনের বেশি এলপিজি আমদানি এলসি খুলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আগামী মাসের দিকে এলপি গ্যাসের সংকট বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

Theme Customized By Theme Park BD