:
বিএনপি যখন মেইল ট্রেন ছেড়ে লোকাল ট্রেনে পরিনত ।
তিন বারের ক্ষমতায় থেকেও রাজনীতিতে ফ্লপ বিএনপি !রাজনৈতিক দূরদর্শীতায় বিএনপি এখন ঠুনকো জগন্নাথ ! বার বার ট্রেন মিস করায় প্লাটফর্ম থেকে দূরে সরে যাওয়ায় যাত্রীরা এখন দ্রতগামী ট্রেন চেপে বসতেছেন। বিএনপি এখন লোকাল ট্রেনে পরিনত তাই যাত্রী সাধারন মেইল ট্রেনে ওঠতেছেন। এসব তাদেরই কথা যারা রাজনীতি করছেন।
যাত্রীগন কোন ট্রেনে যাবেন, সেটা যার যার বিষয় । তবুও যেনো স্রোতের সাথেই পাল্লা দিয়ে চলছেন প্রত্যেকে মেইল ট্রেনের যাত্রী হতে ।
চাউর রয়েছে, লোকাল লক্কর ঝক্কর ট্রেনের যাত্রীগন স্টেশনে অপেক্ষায় থাকতে থাকতে আর পারছিলেন না,তখন অন্য ট্রেনে চেপে চলছেন অধিকাংশ যাত্রী, চলছেন দ্রত গতির ট্রেনে,অন্তত গন্তব্যে পৌছানোটাই মূখ্য । প্রতিযোগিতা চলছে কে কার আগে মেইল ট্রেনে চেপে বসতে পারেন ! মানে, যোগদান করে স্থান দখল করতে পারেন!আস্থাভাজন হতে পারেন!
জানা গেছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সংখ্যা গরিষ্টতা লাব করে দেশ পরিচালনায় আসিন হয়। অতিতের সব কিছু ভুলে দেশ পরিচালনায় মনযোগি ও কৌশলী হন আওযামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষনা করেন “রুপকল্প ভিশন”- ২০২১ । চমক আর চমক দেখিয়ে
দেশ পরিচালনায় সুনাম অর্জন করেন ক্যারিশমাটিক বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা ও তার সরকার ।
সরকার ক্ষমতায় আসিনের পরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ ই আগস্টের কালো রাতের পৃথিবীর জঘন্যতম নারকীয় হত্যার বিচারসহ বড় বড় অন্যায় অপরাধের বিচার শুরু করেন। সফলও হন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ,মেট্রোরেল, রুপপুর ,মোংলা,মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান, পায়রাবন্দর নির্মান, তিন শ ফিট পুর্বাচল সড়ক সহ উন্নয়ন মূলক কর্মযজ্ঞে সরকার তার ভীত মজবুত করতে সক্ষম হয়েছেন। দল হিসাবে আওয়ামীলীগও শক্ত পোক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হন।
বিএনপি জামায়াতসহ বিভিন্ন দল থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে আওয়ামীলীগে “যোগদানের” হিড়িক পরে যায়।
এত আওয়ামীলীগ রাখবো কোথায় ? মিডিয়া পাড়ায় এমন সব নিউজ চাউর হতে থাকে, নজরে আসে প্রথানমন্ত্রীর , যোগদান নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। কিন্তু থেমে থাকে নি যোগদান।
আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ আবারও ক্ষমতায় আসতেছে ,বিকল্প বা বিএনপি জামায়াত কোনো ভাবেই ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার ধারে কাছেও আসতে পারতেছে না। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের মুখেও জিকির আওয়ামীলীগ আওয়ামীলীগ নামে। সাধারন জনগনতো কি আর করার স্রোতের জোয়ারেই গা ভাসাতে ব্যস্ত সকলে। তাই তারাও লোকাল ট্রেন রেখে মেইল ট্রেনের যাত্রী ।
অবশ্য গোপনে মনের গহিনে তাদের রয়েছে ভিন্ন কথা! যা প্রকাশ্যে বলা মহাপাপ।
এক যুগেরও বেশী সময়, আর কত ? বিএনপির নেতাদের আর বিশ্বাস হচ্ছে না ,তাদের ই হালে পানি নেই ! আর কত হামলা মামলার শিকার হবো ? তার চেয়ে ভাল কোনো নেতার মাধ্যমে, হাতে ফুল দিয়ে কোনো মতে “জয় বাংলা” বলে বাচা ! কেউ কেউ এখন উপড়ে উপড়ে খুব ই আওয়ামীলীগ, কিন্তু বাস্তবে ব্যবসা টিকানো, রাস্তায় চলাচল, নির্বিগ্নে বাড়ি ফেরা, নিয়মিত নেতার দরবারে হাজিরা দেয়ায় কিছু হলেও নির্ভয়ে বাচার তাগিদ মনে করে যোগ দিয়েছেন !
কিন্তু এরপরে ? সত্যি সত্যি ই যদি আওয়ামীলীগ ফল্ড করে ? ক্ষমতায় যদি না আসতে পারে ? তখনও কি ওই সকল যোগদান করা নব্য আওয়ামীলীগাররা আওয়ামীলীগ করবেন ? নাকি ফিরে যাবেন তাদের পুরনো দলে ? ফিরে গিয়ে তারা বলবেন, যে আমরা কি মন থেকে যোগ দিয়েছিলাম ? যোগ তো দিয়েছি বাচার তাগিদে ?
নতুন যোগদান করা অনেকেই বলছেন, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে,জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, সাহসীকতা ও উন্নয়নের জোয়াড় বয়ে যাওয়া দেখে মনের টানে অনুপ্রানিত হয়ে আমরা আওয়ামীলীগের পতাকাতলে এসেছি । বাস্তব সত্যি বুজা বড় দায়।